ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

ইন্টারনেটের ধীরগতিতে বেড়েছে খরচ, সমস্যায় সফটওয়্যারের কাজ

ইসমাইল হোসেন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৭
ইন্টারনেটের ধীরগতিতে বেড়েছে খরচ, সমস্যায় সফটওয়্যারের কাজ

ঢাকা: সাবমেরিন ক্যাবল কাটা পড়ায় ইন্টারনেটের ধীরগতির কারণে যারা সফটওয়্যারের কাজ করছেন তারা সমস্যায় পড়ছেন বেশি। সাধারণ ব্যবহারকারীদেরও ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। পাশাপাশি সরবরাহকারীদের খরচ বেড়ে গেছে।

ইন্টারনেটের ধীরগতির ফলে বাইরের দেশের সফটওয়্যারের কাজ যারা করছেন সেই সেবায় পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় আগামীতে ভাবমূর্তির বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন হবে।

ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের সংগঠন আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আইএসপিএবি) বলছে, বাংলাদেশে একটি মাত্র সাবমেরিন ক্যাবলের ওপর নির্ভরতার কারণে বেশি দামে ব্যান্ডউইডথ কিনতে হচ্ছে।

এজন্য বাংলাদেশে ব্যান্ডউডথ’র দাম কমাতে বলেছে তারা।

আগামী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ধীরগতি থাকবে বলে জানিয়েছে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ৫ জানুয়ারি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, i2i নামক একটি সাবমেরিন টেলিকমিউনিকেশন ক্যাবলের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ভারত ‍যুক্ত। এ ক্যাবলের মালিকানায় রয়েছে ভারতীয় এয়ারটেল লিমিটেড। ক্যাবলে ৮ জোড়া ফাইবার রয়েছে, যার মধ্যে ৮.৪ টেরাবাইট/সেকেন্ড ব্যান্ডউইথ সঞ্চালন সম্ভব। কিন্তু চেন্নাইয়ের সমুদ্র তীর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে ক্যাবলটি কাটা পড়ার কারণে গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাত ২টা থেকে ক্যাবলটি অকেজো হয়ে পড়ে।

আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’র (আইএসপিএবি) সাধারণ সম্পাদক মো. ইমদাদুল হক মঙ্গলবার বাংলানিউজকে বলেন, ক্যাবলটি অকেজো হয়ে পড়ায় জিপিএস ব্যবহারকারী এবং সফটওয়্যারের মাধ্যমে যারা বাইরের কাজ করছেন তারা সমস্যায় পড়েছেন। তাদের কাজ করতে সময় বেশি লাগছে। এজন্য আমাদের প্রতিনিয়ত গ্রাহকদের চাপ সহ্য সরতে হচ্ছে।

তবে গ্রাহকদের সুবিধার্থে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানি লিমিটেডের (বিএসসিসিএল) কাছ থেকে ব্যান্ডউইডথ কিনে ঘাটতি পূরণ করা হচ্ছে। এজন্য আমাদের খরচও বেড়ে গেছে।

“আইটিসি থেকে যে ব্যান্ডউডথ ৬০০ টাকায় কেনা যায় সেখানে বিএসসিসিএল থেকে কিনতে হয় এক হাজার টাকায়। কিন্তু গ্রাহকদের জন্য বেশি দামে কিনে সরবরাহ করতে হচ্ছে। ”

তিনি বলেন, ভারত অনেক সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে যুক্ত থাকায় কোনো সমস্যা হলে তারা বিকল্প ক্যাবল ব্যবহার করতে পারে। কিন্তু আমাদের সে সুযোগ নেই। একটি সাবমেরিন ক্যাবলের ওপরই নির্ভর করতে হয়।

আইএসপিএবি বলছে, বাইরের সফটওয়্যারের কাজগুলো সময়মতো ডেলিভারি দিতে না পারলে এখন বুঝতে না পারলেও ভবিষতে সমস্যায় পড়তে হবে।

ইমদাদুল হক বলেন, আইটিসি থেকে ৭০ শতাংশ এবং বিএসসিসিএল থেকে ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউডথ কিনে ব্যবহার করা হয়। এখন বিএসসিসিএল থেকে ৪০ শতাংশ এবং আইটিসি থেকে মাত্র ৩০ শতাংশ ব্যান্ডউডথ পাচ্ছি।

ভারতে ক্যাবল কাটা পড়ায় আগমী ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত উচ্চ গতির জন্য অপেক্ষা করতে হবে বলেও জানান ইমদাদুল।

আমদানি করা ব্যান্ডউডথ’র ওপর নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব রিসোর্স ব্যবহার করার ওপর জোর দেন আইএসপিএবি সাধারণ সম্পাদক।

তিনি বলেন, আমরা কেন আইটিসি থেকে ৭০ শতাংশ ব্যান্ডউইডথ নেব? বিএসসিসিএল’র ব্যান্ডউইডথ’র দাম কমাতে হবে। এজন্য পলিসি পরিবর্তনের বিকল্প নেই। এতে জনগণ ও সরকার লাভবান হবে।

বর্তমানে বাংলাদেশে ৬টি আইটিসি প্রতিষ্ঠান ব্যান্ডউইডথ সরবরাহ করে। এই আইটিসি থেকে ব্যান্ডউইডথ আইআইজি হয়ে আইএসপিদের কাছে চলে যায়।

** ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত ইন্টারনেটে ধীরগতি

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৬
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।