বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ‘ই-গভার্নেন্স: পার্টনারশিপ ফর এচিভিং এসডিজিস’ শীর্ষক এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় মূল বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
পলক বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ বিশ্বকে পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে যে ১৭ এসডিজিতে সম্মতি জ্ঞাপন করেছে, বাংলাদেশও তা সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার মাধ্যমে জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি জানান, ডিজিটাল বাংলাদেশের লক্ষ্যমাত্রাসমূহও এসডিজির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে ই-গভর্নমেন্ট কার্যক্রমের আওতায় এর মাধ্যমে দারিদ্র দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ, উন্নত শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা, ২১ শতক উপযোগী মানবসম্পদ বিকাশে সহযোগিতা, আর্থিক- ধর্মীয়-জাতিসত্ত্বার পটভূমি বিচার না করেই নারী-পুরুষ সবার জন্য সমতা নিশ্চিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সকল মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে এসডিজি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ নির্বিঘ্ন করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি উচ্চ পর্যায়ের এসডিজি সচিবালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। এসডিজি বাস্তবায়ন অগ্রগতি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে একটি অনলাইন ডেটা ভাণ্ডার—এসডিজি ট্র্যাকার—চালু করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির যুগান্তকারী ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ চেতনা থেকে উৎসরিত কার্যক্রমের ফলে আমরা এসডিজি অর্জন করতে সক্ষম হবো বলেই আমি বিশ্বাস করি।
এসময় এসডিজি বাস্তবায়নে তথ্যপ্রযুক্তি-ভিত্তিক নানা কর্মকাণ্ডের বর্ণনা দেন প্রতিমন্ত্রী
জাতিসংঘ উন্নয়ন প্রকল্পের অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, ডিরেক্টর ফর দ্য ব্যুরো ফর পলিসি অ্যান্ড প্রোগ্রাম সাপোর্ট এবং জাতিসংঘের সহকারী মহাপরিচালক মাগদা মার্টিনেজ-সলিমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কেসটি কালজুলাইড, নামিবিয়ার অর্থনৈতিক পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী টম আলেওয়েন্ডো, কলম্বিয়ার জাতীয় পরিকল্পনা বিষয়ক মন্ত্রী লুইস ফার্নান্দেজ মেজিয়া।
বক্তারা ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মকাণ্ডে সমাজের সব শ্রেণ-পেশার অন্তর্ভুক্তিমূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৭
এইচএ/