যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে থাকা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেডকে (বিটিসিএল) এগিয়ে নিতেই এই চিন্তা-ভাবনা বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
মঙ্গলবার (০৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে টেলিকম বিটের সাংবাদিকের সংগঠন 'টেলিকম রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের (টিআরএনবি) নতুন কমিটির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
পিছিয়ে থাকা বিটিসিএলের ল্যান্ডফোনকে আধুনিক প্রযুক্তির আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনার কথা জানিয়ে তারানা হালিম বলেন, ল্যান্ডফোনে যদি কল আসে তা কনভার্ট (রূপান্তর) করে মোবাইল ফোনে চলে আসে।
‘আমি হয়তো বাইরে আছি। তখন আমার ল্যান্ডফোনে একটা ফোন কল এলো দুই বার বা তিন বার। ওখানে (ল্যান্ডফোনে) একটা ইন্সট্রাটকশন দেওয়া থাকবে তৃতীয় বা চতুর্থবারে কলটি কনভার্ট হয়ে আমার মোবাইলে চলে আসে’।
কারণ এখন যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে, বলেন তারানা হালিম।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে যুগের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে ঢেলে সাজাতে হবে। বিটিসিএল তার মধ্যে অন্যতম। আমরা জানি ল্যান্ডফোনের চাহিদাটা যেমন সীমিত হয়ে যাচ্ছে, ব্যবহার সীমিত হয়ে যাচ্ছে। ল্যান্ডফোনে যে বিভিন্ন লাইনম্যানেরা থাকে, তাদের যে দৌরাত্ম্য থাকে, বিভিন্ন রকম যে চক্র থাকে- এর থেকে বেরিয়ে আসবার জন্য এটা খুব ভালো হবে।
‘আমরা যদি এরকম একটা সফটওয়ার ডেভেলপ করতে পারি যে ল্যান্ডফোনের ফোনটা কনভার্ট হয়ে মোবাইলে চলে আসবে। বিলিং সিস্টেম যদি সেভাবে আলাদাভাবে করা যায়- এ বিষয়ে আমরা প্রস্তাবনাগুলো দেখছি। পরবর্তীতে এগুলো ফরমালি এগিয়ে যাবে’।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদি, সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ এবং অন্যনান্য নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
**অবৈধপথে আসা মোবাইল ফোন চলবে না
বাংলাদেশ সময়: ২১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এমআইএইচ/এসএইচ