উচ্ছ্বাস আছে ফেসবুকে। আছে উদ্বেগও।
জরিপ সূত্র জানিয়েছে, এ মুহূর্তে প্রতিদিন ১০ লাখ শিশু অন্তত একবার হলেও ফেসবুকে সময় দেয়।
এ শিশুদের বয়স ৭ থেকে ১২ বছরের মধ্যে। এদের অর্ধেকই ফেসবুককে তাদের জীবনের অবিচ্ছেদ্য মাধ্যম করে নিয়েছে।
এখন নিয়মিত ফেসবুক চর্চায় থাকে ৯ লাখ ৭০ হাজার শিশু। এ ছাড়াও জরিপের আওতায় আসা বাকি শিশুদের ৪৬ ভাগ বলছে, এসব শিশুরা মাঝেমধ্যে ফেসবুকে যায়। আর প্রতি ২০ জনের মধ্যে মাত্র একজনকে পাওয়া গেছে যারা বলেছে, ফেসবুক দেখেনি।
ছেলেশিশুর তুলনায় ১০ থেকে ১২ বছরের মেয়েশিশুদের ফেসবুক আসক্তি বেশি। এ বয়সের ৫৪ ভাগ শিশুই ফেসবুকে নিবন্ধিত। বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, স্ট্যাটাস, পোক, শেয়ার ছাড়াও আরও অনেক কিছুতেই এরা ফেসবুক ব্যবহার করে।
সামাজিক নেটওয়ার্কিং টুইটার এবং ক্লাব পেঙ্গুইন ফেসবুকের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও শিশুদের কাছে ফেসবুকের জনপ্রিয়তাই বেশি। ফেসবুকের ব্যবহারকারী শিশুর সংখ্যার চেয়ে টুইটার ব্যবহারকারী শিশুর সংখ্যা ১০ ভাগ কম।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বন্ধুদের দিয়ে উদ্বুদ্ধ হয়েই অনেকে ফেসবুক চর্চায় জড়িয়ে পড়ে। জরিপে দেখা গেছে, সাত থেকে ১২ বছরের শিশুদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশই ফেসবুকে আসক্ত। কারণ তারা বন্ধুদের এ কাজটি করতে দেখেছে।
এ বয়সের শিশুরা তাদের দিনের তিন ঘণ্টা ৫ মিনিট সময় কাটায় টেলিভিশনের অনুষ্ঠান দেখে। এ চিত্র স্কুল খোলার কিংবা সপ্তাহান্তের দিন একই রকম থাকে বলেও গবেষণা সূত্রে জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময় ২১২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১১