বিএসসিসিএল ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এ তথ্য জানিয়ে বলছে, দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবল এবং অন্যান্য আইটিসি দিয়ে সংযোগ স্থাপন থাকায় এ সময়ে ইন্টারনেট গতিতে তেমন সমস্যা হবে না।
বিসএসসিসিএল জানায়, ২০০৫ সালে দেশে প্রথমবারের মতো সাবমেরিন ক্যাবল ‘এসএমডব্লিউ-৪’ এ যুক্ত হয় বাংলাদেশ, যার মাধ্যমে ২৫০ জিবিপিএস (গিগাবাইট পার সেকেন্ড) ব্যান্ডউইথ পাওয়া যায়।
আর গত বছরের গত ১০ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় চালু হয়েছে দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল ল্যান্ডিং স্টেশন। এ ল্যান্ডিং স্টেশনের মাধ্যমে সাউথইস্ট এশিয়া-মিডলইস্ট-ওয়েস্টার্ন ইউরোপ (এসইএ-এমই-ডব্লিউই-৫) আন্তর্জাতিক কনসোর্টিয়ামের সাবমেরিন কেবল থেকে সেকেন্ডে ১৫০০ গিগাবাইট (জিবি) গতির ইন্টারনেট পাবে বাংলাদেশ।
বিএসসিসিএল সূত্রে জানা যায়, দেশে ইন্টারনেটের চাহিদা ৪০০ জিবিপিএসের বেশি। এর মধ্যে ১২০ জিবিপিএস এতোদিন রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি বিএসসিসিএলের মাধ্যমে আসছিল। বাকি ২৮০ জিবিপিএস আইটিসির ব্যান্ডউইথ ভারত থেকে আমদানি করা হয়।
প্রথম সাবমেরিন কেবলে ত্রুটি দেখা দিলে আমদানি নির্ভরতা ও বিকল্প না থাকায় ইন্টারনেট সেবা বিঘ্নিত হতো। তবে দ্বিতীয় সাবমেরিন কেবলে যুক্ত হওয়ায় এই সমস্যা কেটে গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআইএইচ/এএ