লন্ডনের পর চীনের সাংহাই এর অরিয়েন্টাল স্পোর্টস সেন্টারে জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুক্রবার (২৬ অক্টোবর) ফোনটি উদ্বোধন করেছে হুয়াওয়ে। কোম্পানিটির পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জনপ্রিয় মোবাইল ডিভাইস সিরিজ হিসেবে মেট টোয়েন্টি সফলভাবে প্রতিষ্ঠা পাবে বলে আশা করছে হুয়াওয়ে। ডিভাইসটিতে সর্বশেষ সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড ৯ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়েছে।
হুয়াওয়ে কনজুমার গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রিচার্ড ইউ (richard yu) ডিভাইসের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানে।
বাংলাদেশে ফোনটি বাজারজাত করার বিষয়টিও জানান রিচার্ড।
তিনি জানান, ‘হুয়াওয়ে মেইট ২০’ সিরিজের ফোনে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। মেইট ২০ তে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির চিপ কিরিন ৯৮০। ৬.৫, ৬.৩ এবং ৭.২ ইঞ্চি-এ তিনটি আকারের ফুল ওএলইডি পর্দার ফোন পাওয়া যাবে। মেইট ২০ সিরিজের রম আর র্যামের চারটি ভিন্ন কনফিগারেশনের মধ্যে সর্বনিম্ন র্যাম ৬ জিবি এবং রম ৫১২ জিবি।
ডিভাইসে রয়েছে ৪২০০ এমইএইচ ব্যাটারি। দ্রুত চার্জের জন্য রয়েছে তার এবং তারবিহীন সুপার চার্জের সুবিধা। এর সঙ্গে রয়েছে চমকপ্রদ রিভার্স চার্জিং সিস্টেম। যার মাধ্যমে চার্জ ফুরিয়ে গেলে আরেকটি মেট স্মার্টফোনের পাশাপাশি ধরেই চার্জ করা যাবে। চার্জারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ফোনে জার্মানির টিইউভি সার্টিফাইড ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে।
পানি ও ধূলোবালি নিরোধক এ ফোনটিতে রয়েছে তারবিহীন প্রজেক্টর সুবিধা। ব্যবহার করা হয়েছে ল্যাপটপ লেভেল প্রসেসর যা ব্যবহারকারীদের নেটবুক ব্যবহারের অভিজ্ঞতা দেবে।
মেইট ২০ সিরিজের পেছনে রয়েছে তিনটি ক্যামেরা। এর মধ্যে একটি ক্যামেরা ৪০ মেগা পিক্সেলের। অন্য দু’টি যথাক্রমে-৮ মেগা পিক্সেলের টেলিফটো এবং ২০ মেগা পিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড অ্যাঙ্গেল লেন্স ক্যামেরা। সব মিলিয়ে ছবি তোলার ক্ষেত্রে ১৬ থেকে ২৭০ মিলিমিটার জুম লেন্সের সুবিধা পাওয়া যাবে ফোনটিতে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির সুবিধা থাকা এ ডিভাইসের ক্যামেরা শুধু ছবি তোলার জন্যই নয়, বিভিন্ন তথ্য দিয়েও সহযোগিতা করবে। যেমন কোন খাবারে কী পরিমাণ ক্যালরি আছে তা জানিয়ে দেবে ফোনটি। কোনো কিছুর ছবি তুলে সেটিকে ত্রিমাত্রিক (থ্রিডি) হিসেবে উপস্থাপন করা যাবে।
মেইট ২০ এর ডিজাইনেও এসেছে পরিবর্তন। আগের স্মার্টফোনগুলোর তুলনায় বেড়েছে পর্দার আকার। বেশিরভাগ স্মার্টফোনের পেছনে ফিঙ্গারপ্রিন্টের সুবিধা থাকলেও মেট ২০-তে ভেসে উঠবে সামনের পর্দাতেই। এর সঙ্গে আছে ত্রিমাত্রিক চেহারা সনাক্তকরণ প্রযুক্তি এবং বন আইডি (ভয়েস রিকগনিশন), যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীর ভয়েসের সাহায্যে আনলক করা যাবে ফোনটি।
১৬ অক্টোবর থেকে ইউরোপের বাজারে আসা মেট সিরিজের ফোনটির সর্বনিম্ন মূল্য ৭৯৯ ইউরো এবং সবচেয়ে দামি পোরশে ডিজাইনে মেট-২০ এর সর্বোচ্চ মূল্য ২০৯৫ ইউরো।
বাংলাদেশ সময়: ০০২৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০১৮
এমআইএইচ/এসআই