ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

১ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে হাইটেক পার্কে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০১৯
১ লাখ তরুণের কর্মসংস্থান হবে হাইটেক পার্কে হাইটেক পার্ক সিটি পরিদর্শনকালে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক

গাজীপুর: গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক সিটিতে কর্মসংস্থান হবে এক লাখ তরুণ-তরুণীর। এছাড়াও বিনিয়োগ হবে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। হাইটেক পার্কের ভবিষ্যত সম্ভাবনা ও সফলতার কথা জানিয়ে এমনটাই বলেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে পরিদর্শনে যান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। পরিদর্শনকালে বিনিয়োগ করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রকল্প স্থাপনা, জাতীয় তথ্য কেন্দ্রসহ পার্কের বিভিন্ন স্থাপনা ও প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখেন প্রতিমন্ত্রী।

পরিদর্শন শেষে হাইটেক পার্ক প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি নিয়ে বাংলানিউজকে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমরা প্রথমে ২৩২ একর জায়গা পাই। এরপর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আরও ৯৭ একর জায়গা আমাদের দেন। আরও কিছু মিলিয়ে আমাদের এখন মোট আয়তন প্রায় ৩৫৫ একর। আগে থেকে আমাদের এখানে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগ করেছে। আর নতুন দেওয়া ৯৭ একর জায়গা আরও ১৮ টি কোম্পানিকে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রায় দুই লাখ বর্গফুট আয়তন বিশিষ্ট টেকনো সিটি বিডি লিমিটেড, ২৭ হাজার ২৬০ বর্গফুট আয়তনের উপর সার্ভিস বিল্ডিং, ১৬০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বিশ্বের অষ্টম বৃহত্তম ডাটা সেন্টারসহ বিভিন্ন স্থাপনার কাজ প্রায় শেষ। নতুন বরাদ্দ পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো ও দ্রুত তাদের স্থাপনা নির্মাণে কাজ শুরু করবে।

চলতি বছরের জুনেই জাতীয় তথ্য কেন্দ্র বাণিজ্যিক কার্যক্রমে আসছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। জাতীয় তথ্য কেন্দ্র সরকারি চাহিদা মিটিয়ে প্রয়োজনে বেসরকারি খাত থেকেও মুনাফা অর্জন করবে বলেও জানান তিনি।

ডাটা সেন্টারের বিভিন্ন উইং পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে পলক বলেন, ২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে এই হাইটেক পার্ক সিটির ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত মেয়াদ থাকলেও এক বছর আগে চলতি বছরেই বাণিজ্যিক কার্যক্রমে যাচ্ছে আমাদের ডাটা সেন্টার। ইতিমধ্যে এখানে সব ধরনের কাজ শেষ হয়ে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম চলছে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ‘ট্রায়াল’ ভিত্তিক কার্যক্রম শুরু হবে।

প্রতিমন্ত্রীর হাইটেক পার্কে পরিদর্শনকালে বিনিয়োগকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, আইসিটি খাতের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৯
এসএইচএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।