ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

কন্টেন্ট ফিল্টারিং প্রযুক্তি চালু মার্চে

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৯
কন্টেন্ট ফিল্টারিং প্রযুক্তি চালু মার্চে অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার

ঢাকা: তথ্য বা ডাটা নিরাপদ রাখা বর্তমান ডিজিটাল বিপ্লবের যুগে একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ। ইতোমধ্যে কন্টেন্ট ফিল্টারিং করার সক্ষমতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। আগামী মার্চে এ প্রযুক্তি চালু করা সম্ভব। এটি চালু হলে পর্নসহ বিপথগামী অনেক সাইট বন্ধ করে শিশুদের রক্ষা করতে পারবো।

মঙ্গলবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সফটওয়্যার পার্কের সম্মেলন কক্ষে ইউনিসেফ আয়োজিত বাংলাদেশে শিশুদের জন্য অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার একথা বলেন।  

মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের জন্য ইন্টারনেট নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অ্যাপসহ খারাপ কন্টেন্ট ফিল্টারিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিশুরা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমাদের মনে রাখতে হবে শিশুদের কাছে আমরা কী কন্টেন্ট দিচ্ছি? শিশু উপযোগী কন্টেন্ট আমরা ইন্টারনেটে রাখিই না। শিশু পছন্দ করে এমন কন্টেন্ট দরকার।  

তিনি বলেন, শিশুদের জ্ঞানার্জনের পদ্ধতির সঙ্গে আমাদের বিদ্যমান পদ্ধতিটি বিপরীতমুখী। সরকারের এখনকার চেষ্টা শিশুসহ নাগরিকদের খারাপ কন্টেন্ট থেকে রক্ষা করা। পাশাপাশি শিশুদের ইন্টারনেট সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য।  

খারাপ কন্টেন্টগুলোর উৎপত্তিস্থল বাংলাদেশ নয় জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সেজন্য এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আরো একটি বড় বিষয় হচ্ছে, যারা কন্টেন্টগুলো দুনিয়াব্যাপী ছড়াচ্ছেন তারা তাদের নিজেদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন, আমাদের স্ট্যান্ডার্ডে চলেন না। এক্ষেত্রেও সাম্প্রতিক অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।  

‘আমাদের দেশের আইন পরিপন্থি অনেক বিষয়ের প্রতি তারা সম্মান দেখাতে সম্মত হয়েছে। এটাও ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের একটি বড় সফলতা। ’ 

তিনি বলেন, ইন্টারনেট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখতে অভিভাবকদেরও সচেতন হতে হবে। অভিভাকদেরও নিরাপদ ব্যবহারের দক্ষতা প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্যারেন্টাইল গাইড নামে ইন্টারনেটের একটা অপশন আছে, যা প্রয়োগের মাধ্যমে খারাপ কন্টেন্ট থেকে শিশুদের নিরাপদ রাখা যায়।

‘ডিজিটাল শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের ডিজিটাল হতে হবে, একই সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তাও নিশ্চিত করতে হবে। ’

৫-জিকে আগামী দিনের বড় চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আগামী দু’বছর পর প্রযুক্তি দুনিয়া এক বিস্ময়কর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে যাচ্ছে।  ৫-জির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলার পাশাপাশি এখন থেকেই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৫, ২০১৯
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।