ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

গ্রামীণফোনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে বিটিআরসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৬ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৯
গ্রামীণফোনের বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে বিটিআরসি বিটিআরসি ও গ্রামীণফোনের লোগো

ঢাকা: বেসরকারি বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনকে এসএমপি (সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার) বা তাৎপর্য্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাসম্পন্ন পরিচালনাকারী হিসাবে ঘোষণার পর অপারেটরটির ওপর দেওয়া বিধি-নিষেধ তুলে নিয়েছে বিটিআরসি।

বিটিআরসি মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) অপারেটরটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়ে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিন সময় দিয়েছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি তাৎপর্য্যপূর্ণ বাজার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোনকে চার দফা নির্দেশনা দেয়।

 

করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ের মধ্যে ছিল, এমএনপি লক ইন পিরিয়ড ৩০ দিন প্রযোজ্য হবে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বতন্ত্র এবং একক স্বত্বাধিকার চুক্তি সম্পাদন করা থেকে বিরত থাকতে হবে। মাসিক কল ড্রপের সর্বোচ্চ হার ২ শতাংশ। দেশব্যাপী কোনো প্রকার মার্কেট কমিউনিকেশন কোনো মাধ্যমে করা যাবে না।

সাধারণত এমএনপি সেবায় ৯০ দিনের আগে অপারেটর বদলের সুযোগ না থাকলেও গ্রামীণফোনের ক্ষেত্রে তা ৩০ দিন করে দেওয়া হয়।  

এর আগে গত ১০ ফেব্রুয়ারি গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করে বিটিআরসি। এসএমপি ঘোষণার ফলে কোনো অপারেটরের একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। তবে ওইদিন অপারেটরটির করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়গুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি।

এসএমপি ঘোষণার পর অপারেটরটি বলছিল, সাফল্যের বাধা হিসেবে নয়, এসএমপির নির্দেশনার উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ বাজার প্রতিযোগিতা তৈরি করা। বিধি-নিষেধ প্রত্যাহারের জন্য গ্রামীণফোন নিয়ন্ত্রক সংস্থার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে আসিছিল।

প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মানসম্মত সেবা নিশ্চিত করতে গত বছরের ১৪ নভেম্বর এসএমপি প্রবিধানমালা অনুমোদন করে বিটিআরসি। এর মাধ্যমে একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে বিটিআরসি।

বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।