ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নেটওয়ার্ক সচল রাখতে নিরলস কাজ করছে গ্রামীণফোন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৫ ঘণ্টা, মে ৪, ২০১৯
নেটওয়ার্ক সচল রাখতে নিরলস কাজ করছে গ্রামীণফোন

ঢাকা: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র আঘাতে ব্যাহত নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা সচল রাখতে সার্বক্ষণিক নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্ক বিভাগের কর্মীরা।

একইসঙ্গে ‘ফণী’র কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনঃস্থাপনের লক্ষ্যে সরকার; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে কাজ করছে গ্রামীণফোন।
 
এই যৌথ উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হচ্ছে নেটওয়ার্কের অবকাঠামো ঠিক করে দেশব্যাপী যত দ্রুত সম্ভব স্বাভাবিক মোবাইল নেটওয়ার্ক  চালু করা হবে বলে শনিবার (৪ মে) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে গ্রামীণফোন।


 
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার ভোররাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ এলাকায় ‘ফণী’ আঘাত হানে। ঢাকা, ময়মনসিং, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল এবং চট্টগ্রামে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মাঠ পর্যায়ে নিরলসভাবে কাজ করছেন। পূর্ব প্রস্তুতি থাকায় গ্রামীণফোনের কর্মীরা মূল নেটওয়ার্ক সচল রেখেছে। এখনো বাণিজ্যিক বিদুৎ না থাকায় বিকল্প ব্যবস্থায় নেটওয়ার্ক চালু রাখার সার্বক্ষিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন গ্রামীণফোনের কর্মীরা। অনেক জায়গায়ই বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ফিরে আসতে সময় লাগতে পারে। তাই নেটওয়ার্কও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে কিছুটা সময় লাগতে পারে।
 
নেটওয়ার্ক দলের চলমান প্রয়াস সম্পর্কে গ্রামীণফোনের ডেপুটি সিইও এবং সিএমও ইয়াসির আজমান বলেন, নেটওয়ার্ক দল এই দুর্যোগের মধ্যেও যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এজন্য তাদের সাহসিকতাকে ধন্যবাদ জানাই। এক্ষেত্রে তাদের পূর্ব প্রস্তুতি একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। গত কয়েকদিন ধরে তারা বিরামহীনভাবে তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আশা করছি খুব শীঘ্রই আমাদের নেটওয়ার্কের স্বাভাবিক হবে।
 
ইয়াসির আজমান বলেন, মোবাইল নেটওয়ার্ক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল হওয়ার বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা খুব দ্রুত পুনঃস্থাপন দরকার। এ লক্ষ্যে আমরা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছি। দুর্যোগের এই সময়ে আমরা গ্রাহকদের ধৈর্য ধরে আমাদের পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা আশা করি বরাবরের মতো দ্রুতই এই পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০১৯
এমআইএইচ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।