ই-এশিয়ার দ্বিতীয় দিনে দর্শক ভিড় বাড়তে থাকে বিকেল চারটার পর পরই। সরকারি ছুটির দিন আর শুক্রবার হওয়ায় সকাল থেকে এ সম্মেলনে দর্শকদের আনাগোনা ছিল একেবারেই কম।
যদিও সকালের সেমিনারগুলো ছিল দর্শকপূর্ণ। এখানে দর্শনার্থীরা প্রশ্ন আর জবারের মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞান আর সীমাবদ্ধতাকে তুলে ধরেন।
বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত দু’ঘণ্টাব্যাপী আউটসোর্সিং বিষয়ক সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী কর্নেল ফারুক খান এবং বিশিষ্ট তথ্যপ্রযুক্তিবিদ এবং বাংলাদেশ আইসিটি মন্ত্রণালয়ের পরামর্শক সজীব ওয়াজেদ জয়।
আউটসোর্সিং ব্যবসায় বাংলাদেশ এগিয়েছে। এরই মধ্যে বিশ্বের শীর্ষ ৩০টি দেশের তালিকায় চলে এসেছে বাংলাদেশ। এ খাতে বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। তাই বিনিয়োগ আর আয় দুটোই আসবে এ খাত থেকে।
সব মিলিয়ে আয়োজনটা দ্বিতীয় দিনে এসে ভালোই জমে উঠে। তবে ই-এশিয়া আয়োজন হিসেবে জাকজমক হলেও অনেক কিছুতেই অব্যবস্থাপনা আর সমন্বয়হীনতার অভিযোগ উঠেছে। প্রথম দিনে এ সম্মেলনে মিডিয়াকর্মীদের জন্য কর্মকক্ষ ছিল না। তবে দ্বিতীয় দিনে এসে মিডিয়াকর্মীদের জন্য কক্ষ বরাদ্দ করা হয়।
অনেকেই এ সম্মেলনে এসে দিকনির্দেশনাহীনতায় ছুটে বেড়িয়েছেন। এসব আগ্রহীদের জন্য সুস্পষ্ট কোনো গাইডলাইন দেওয়ার জন্য যেন কেউই দায়িত্ব নিচ্ছিল না। ই-এশিয়া নিয়ে দেশীয় আইসিটি পেশাজীবীদের যতটা আগ্রহ ছিল তা অনেকটাই অপূর্ণই রয়ে বলেছে অনেকে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।
ই-এশিয়ার তথ্য সরবরাহে বেশ অনিয়ম চোখে পড়ে। অনেক মিডিয়া কর্মীকেই সংশ্লিষ্ট ছবি আর তথ্যের জন্য এদিক-ওদিক ছুটতে হয়েছে। ই-এশিয়ার মিডিয়া কমিটি যদি এ বিষয়টি সুষ্ঠুভাবে বণ্টন করতেন তাহলে এমনটি হতো না।
ই-এশিয়ার দ্বিতীয় দিনব্যাপী বিজ্ঞান এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান প্রদর্শনীর সার্বিক অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। এ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ এশিয়ার আইসিটি বাজারে নিজের উদ্ভাবন আর ব্যবসায়ীক সম্ভাবনাকে তুলে ধরতে পারবে। আর সাফল্য-ব্যর্থতার হিসাব আয়োজন শেষেই পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১