ঢাকা এখন ই-এশিয়ার শহর। আন্তর্জাতিক মানের এমন আয়োজনে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।
আইসিটি বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, প্রদর্শনী বাহারি আয়োজনে ধীরে ধীরে জমছে ই-এশিয়া প্রাঙ্গন। করপোরেট স্টলগুলোতে দর্শনকারীরা ভিড় করছে। তবে শিক্ষাখাতে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে স্টলগুলোর প্রতি সবার আকর্ষণটা একটু বেশি। এ প্রদর্শনীতে রহিম আফরোজের ডিজিক্লাস স্টলে দর্শনকারীরা যাচ্ছে আগ্রহ নিয়েই।
এ আধুনিক যুগে একটি ক্লাসে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। চাপ পড়ছে শিক্ষকদের ওপরও। এ সব সমস্যার সমাধানে রহিম আফরোজের ডিজিক্লাস নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ডিজিক্লাসে থাকবে পড়াশোনার সব কনটেন্ট। বাংলা মাধ্যম হলে বাংলা সিলেবাস। ইংরেজি হলে ইংরেজি।
তবে এখনও নতুন বলে বাংলার সংযোগ তারা করেনি। ইংরেজি দিয়েই কাজ চলছে। ডিজিক্লাস ১০টি হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্ট নিয়ে তৈরি। হার্ডডিস্কে ৯০ জিবি কনটেন্ট আপ করা আছে। এতে ৩ হাজার অ্যানিমেশন সফটওয়্যার আছে। ক্লাসের গণিত পড়ানোর জন্য আছে ১০ হাজারের উপর ডায়াগ্রামও আছে ডিজিক্লাসে।
যে কোনো ক্লাস রুমে শিক্ষকদের পড়ানোর জন্য ডিজিক্লাসে আছে ইংরেজি, ম্যাথস, সোশ্যাল সায়েন্স, এনভারমেন্ট সায়েন্স, ফিজিকস, ক্যামিস্ট্রি এবং বায়োলজি বিষয়গুলো। বই, নোট, প্রশ্নপত্র সবকিছুই থাকবে ডিজিক্লাসে।
ডিজিক্লাস সম্পর্কে রহিম আফরোজের নির্বাহী প্রশিক্ষক ইকবাল বাংলানিউজকে বলেন, ডিজিক্লাস নিয়ে শুরুতে বগুড়ার আরএফসি মডেল স্কুলে পাইলট প্রকল্ড হিসেবে দেখা হয়েছে। এখানে সফল হওয়ার পরই ঢাকার সাতটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল ডিজিক্লাস কিনে নিয়েছে।
প্রশিক্ষক ইকবাল বলেন, প্রতিটি ডিজিক্লাসের মূল্য সাড়ে চার লাখ টাকা। সঙ্গে চার বছরের জন্য সার্ভিসিং ফ্রি। ডিজিক্লাস ব্যবহারের জন্য শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে রহিম আফরোজ। ডিজিটাল পদ্ধতীতে পড়াশোনায় ডিজিক্লাস অনেকটুকু এগিয়ে যাবে। এমনটাই আশাবাদ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২, ২০১১