ই-এশিয়ার শেষদিনে দর্শক ভিড় বাড়তে থাকে দুপুর ১২টার পর থেকে। কিন্তু দুপুর ২টার পর থেকে সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ প্রায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ সময় কয়েক হাজার দর্শনার্থী ই-এশিয়ার সেমিনারে অংশ নিতে চাইলেই প্রবেশ করতে পারেন না। এ নিয়ে আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনেক আগত দর্শনার্থী তিন দিনের প্রদর্শনীকে মূলত ২ দিনের প্রদর্শনী বলেছেন। কারণ উদ্বোধনী দিন সাধারণ দর্শনার্থীরা ১টার পর প্রবেশ করতে পারেন। আর সমাপনী দিনে দুপুর ২টার পর সাধারণ দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারেন নি। তাহলে মূল আয়োজন সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য মাত্র দুদিনে এসে দাঁড়ালো।
অবশেষে সন্ধ্যা ছয়টায় রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ই-এশিয়ার এবারের ভেন্যু ঢাকা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের ‘হল অব ফেমে’ এসে উপস্থিত হন। এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।
সমাপনী ভাষণে রাষ্ট্রপতি বলেন, এশিয়ার তথ্যপ্রযুক্তি এ বৃহৎ আসর বাংলাদেশকে সব দিক দিয়ে সমৃদ্ধ করেছে। তিন দিনব্যাপী এ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আইসিটি খাতের নীতিনির্ধারক, শীর্ষ করপোরেট, সরকারি-বেসরকারি প্রতিনিধি, আগত বিদেশি করপোরেট ব্যক্তি এবং স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই নিজেদের সমৃদ্ধ করা সুযোগ পেয়েছেন।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ গ্লোবাল ভিলেজে নিজেদের আইসিটি খাতকে সুপরিচিত করে তুলেছে। এভাবে আইসিটি খাতের উন্নয়ন হলে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০২১ সালের আগেই ডিজিটাল লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ আইসিটি খাতে গবেষণা এবং উন্নয়নে বড় পরিসরে কাজ শুরু করেছে। এ ধারা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। এশিয়ার অন্য সব দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ তাদের আইসিটিকে সম্পৃক্ত করতে পারবে বলেও রাষ্ট্রপতি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এ অনুষ্ঠানে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান বলেন, এ ধরনের বড় মাপের একটি সম্মেলনের আয়োজনে বাংলাদেশের আইসিটি খাত এবং ব্যবসা আরও গতিশীল করবে। এ শুভ যাত্রার শুরু হলো। আগামীতেও বাংলাদেশ এ ধরনের আয়োজনে নিজের উদ্ভাবনী শক্তি নিয়ে প্রস্তত থাকবে। সবশেষে রাষ্ট্রপতি তিন দিনব্যাপী ই-এশিয়া সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপনী ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময় ১৯৪২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩, ২০১১