মাইক্রোসফটের নজর এখন অ্যাপলের আইপ্যাডে। কারণ উড়ো খবর বলছে আইপ্যাডে অফিস অ্যাপলিকেশন শুরু করছে মাইক্রোসফট।
এদিকে অ্যাপল প্রথম থেকেই ব্যবহারকারীদের সুবিধার কথা বিবেচনায় রেখে একাধারে একাধিক প্রয়োজনীয় প্রোডাক্টিভ অ্যাপলিকেশন ছেড়েছে আইপ্যাডে। যার মধ্যে আছে নাম্বারস, কিনোট এবং প্রকাশিত অ্যাপলিকেশনগুলোর একাধিক ভার্সন সঙ্গে আইওয়ার্ক। আইওয়ার্কে ব্যবহারকারীরা সবচেয়ে সহজ উপায়ে ডকুমেন্ট, স্প্রেডশীট, প্রেজেনটেশনের কাজ করতে পারে। যেটি মাইক্রোসফট অফিসে সুসঙ্গতভাবে দেওয়া আছে। এছাড়া আইপ্যাডে কিছু সংখ্যক থার্ড পার্টি অ্যাপলিকেশন আছে যার কার্যবৈশিষ্ট্য একই ধরনের সেবা সরবরাহ করা। ধারণা মতে, এটি অ্যাপলের কার্যকরী প্রোডাক্টিভ অ্যাপলিকেশনের মতো।
উল্লেখ্য, এ ঘটনার পুরো তথ্য স্পষ্ট না হলেও কিছুটা স্পষ্ট। কারণ তথ্য সুত্র আরো জানিয়েছে, মাইক্রোসফটের আন্তর্জাতিক কর্পোরেশন রেডমন্ড বর্তমানে আইপ্যাডের জন্য এমএস অফিসের কাজ করছে। এছাড়া মাইক্রোসফটের বেশীরভাগ ব্যবহারকারীর ইতিমধ্যে জানা আছে এমএস অফিস উইন্ডোজ এবং ম্যাক অপারেটিং সিস্টেমে প্রাপ্য। গত ২২ বছর আগে ম্যাকের সুচনার শুরুতে সর্বপ্রথম অফিস পায়। এবারে টাচ ভার্সনের অফিস উন্মুক্ত করা মাইক্রোসফটের জন্য হবে নতুন এক পদক্ষেপ । একই সময়ে নতুন এমএস অফিস এবং আসন্ন উইন্ডোজ ৮ ট্যাবলেট যথাযতভাবে চালু হবে বলে জানিয়েছে সুত্র।
এছাড়াও মাইক্রোসফট সম্প্রতিকালে অফিস ২০১২ সংস্করণের কাজ করছে যেটি উইন্ডোজ এবং ম্যাক উভয়েই লভ্য হবে। অন্তত্যপক্ষে ২০১২ সালের মধ্যভাগের আগ পর্যন্ত এর মোড়ক উন্মোচনের আশা করাটা বৃথা যাবে। গুজব প্রসঙ্গে সুচিন্তিত মন্তব্য দেওয়া হয়েছে আইপ্যাড ৩ উন্মুক্তের পরই এমএস অফিস প্রকাশ পাবে। তাই যেটাইহোক খুব শীঘ্রই আইপ্যাডে এমএস অফিস দেখা পাওয়ার সুযোগ নেই কারোও। মূল্যের বিষয়টি অজানা হলেও বিশস্ত সূত্রের ধারণা নতুন এই অ্যাপ এর মূল্য ১০ ডলার হবে। ঠিক অ্যাপ স্টোরের বেশীরভাগ প্রোডাক্টিভ অ্যাপলিকেশনের মুল্যের মতো।
অন্যদিকে অ্যাপলের কাছাকাছি থাকার মাইক্রোসফটের এই প্রয়াসকে প্রশংসার চোখে দেখছে আলোচকরা। তবে মাইক্রোসফটের জন্য এই প্লাটফর্ম হবে পুরো নতুন । আর এমন সুখবরের ভিত্তিতে যারা এখন অধীর তাদেরকে বিষয়টি খুব সাধারণভাবে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে । যেহেতু মাইক্রোসফট এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয়নি।