ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

তথ্যপ্রযুক্তি

নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ হবে অ্যাপসে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯
নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ হবে অ্যাপসে

ঢাকা: সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) নামে একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।

এখন থেকে পুলিশকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগরবাসীর তথ্য সংগ্রহ করতে হবে না। সিআইএমএস অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের মোবাইল ফোনেই তথ্য দিতে পারবেন।

পরে থানা পুলিশের গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশনের পর এসব তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হবে।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ডিএমপি কমিশনার এ অ্যাপসের উদ্বোধন করেন।

আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশের যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন এর বাস্তব একটি প্রয়োগ হচ্ছে ডিএমপির সিআইএমএস মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন। সোমবার থেকে অ্যাপসটি গুগল প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। নাগরিকরা অ্যাপসটি নিজেদের স্মার্টফোনে ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবেন।

তিনি আরও বলেন, আগে থানা পুলিশ ম্যানুয়ালি নাগরিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করত। পরে সব তথ্য যাচাই-বাছাই করে আমরা সিস্টেমে এন্ট্রি দিতাম। এতে লোকবল ও সময় দু’টিই বেশি লাগত। কিন্তু এখন এ অ্যাপসের মাধ্যমে নাগরিকরা নিজেদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তথ্য দিতে পারবেন। পরে থানা পুলিশ গ্রাউন্ড ভেরিফিকেশন করার পর এ তথ্য সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হবে। তবে এখনো ম্যানুয়ালি ও ডিজিটালি এ নাগরিক তথ্য সংগ্রহের কাজ করা যাবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২০১৬ সালে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহ করার প্রক্রিয়া শুরু করি। অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে বলছি, আজ পর্যন্ত ঢাকা মহানগরীর ৭২ লাখ নাগরিকের তথ্য আমাদের এ সিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি করা হয়েছে।

এখন আমরা যে সিআইএমএস তথ্যভাণ্ডার তৈরি করেছি এর কারণে নগরীতে কেউ নিজের পরিচয় লুকিয়ে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি এবং বাসা তৈরিও করতে পারেন না। কোনো বাসায় যদি অপরাধ করে অপরাধী পালিয়ে যায় তাহলে আমরা নাগরিক তথ্যভাণ্ডারের মাধ্যমে তাকে সহজেই চিহ্নিত করতে পারি এবং তাকে গ্রেফতার করতে পারি।

তিনি আরও বলেন, ২০১৬ সালের হলি আর্টিজানে মর্মান্তিক জঙ্গি হামলার পর ঢাকা মহানগরীতে তেমন কোনো বড় ধরনের জঙ্গিদের আস্তানা গড়ে ওঠেনি এবং জঙ্গিরা আস্তানা তৈরি করতে পারেনি। এর অন্যতম একটি কারণ হল, নাগরিক ডাটাবেজ থাকার কারণে জঙ্গিরা ঢাকা শহরে বাসা ভাড়া নিতে পারেনি বা অবস্থান করতে পারেনি। জঙ্গি দমনে এ সিস্টেম একটি যুগান্তকারী ভূমিকা রেখেছে।

অপরাধ ডিটেকশন এবং প্রিভেনশনের ক্ষেত্রে এ তথ্যভাণ্ডার সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া টেন্ডারবাজি, ছিনতাই, রাহাজানি ও চাঁদাবাজি দমনে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৯
পিএম/আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।