নকিয়া বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষকদের শিক্ষাদানের দক্ষতা বাড়াতে মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘নকিয়া এডুকেশন ডেলিভারি’ শীর্ষক একটি অগ্রণী প্রকল্প চালু করেছে। এটি একটি অনুপ্রেরণামূলক প্রকল্প।
নকিয়া এডুকেশন ডেলিভারি সফটওয়্যারটি চালু হয় ২০০৩ সালে। এটি চিলি, কলম্বিয়া, ভারত, তানজানিয়া, নাইজেরিয়া, ফিলিপাইন এ দেশগুলোর শিক্ষায় বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এ মুহূর্তে সফটওয়্যারটি কেনিয়া, মিশর এবং বাংলাদেশসহ ইন্দোনেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকাতে চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশের শিক্ষকেরা সাধারণত শ্রেণীকক্ষে পাঠ্যবই ব্যবহার করে থাকেন। প্রায়ই তাদের মধ্যে ফোনেমিক তথা ভাষাগত বা বাচনিক সচেতনতা, উচ্চারণ ও ধ্বনি, সাবলীল পাঠদান ও বর্ণনা, শব্দভান্ডার এবং উপলব্ধি সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতার অভাব লক্ষ্য করা যায়।
এ সব শিক্ষকেরা স্বভাবত নিজস্ব জ্ঞান ও উদ্যোগের আলোকেই শিক্ষার্থীদের বাংলা ও ইংরেজি শিখিয়ে থাকেন। নতুন এ মোবাইল মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও জ্ঞানের মান বাড়ানো এবং শিক্ষকতা তথা শিক্ষাদানের মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারি।
নকিয়া মোবাইল ফোন ও নকিয়া এডুকেশন ডেলিভারি (এনইডি) ব্যবহার করে মুখোমুখী এবং ভার্চুয়াল মেনটরিং যথার্থ পরামর্শমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের একটি হাইব্রিড মডেল বাস্তবায়ন করব।
আমেরিকার নকিয়া ইন্টারন্যাশনাল রিডিং অ্যাসোসিয়েশন (আইআরএ) এবং বাংলাদেশ রিডিং অ্যাসোসিয়েশনের (বিআরএ) সঙ্গে একযোগে কাজ করে এ অগ্রণী প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। এর আওতায় বাংলাদেশের প্রাথমিক শিক্ষদের ভাষা শেখানো এবং মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে তাদের মধ্যে একটি পেশাগত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে।
আমেরিকার আইআরএ ডায়াগনস্টিক টিচিং মডেল (ডিটিএম) ও লিটারেসি লিডারিশিপ ডেভেলপমেন্টের আলোকে এ প্রকল্পের প্রক্রিয়া পরিচালিত হবে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের কাঠামোসমূহ ব্যবহার করে নকিয়া এডুকেশন ডেলিভারি (এনইডি) সিস্টেম ও অনলাইন নেটওয়ার্কিংয়ের সাহায্য ভার্চুয়াল নেটওয়ার্কিং ও কোচিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এনইডি ভিডিওর মাধ্যমে যেমন প্রশিক্ষণ অধিবেশন পরিচালনা করবে তেমনি প্রশিক্ষণার্থী শিক্ষকেরা নিজেদের প্রশিক্ষিত করে তুলতে পারবেন। অংশগ্রহণকারী প্রত্যেক দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী একটি সমন্বিত ভাষাভিত্তিক পেশাজীবী উন্নয়ন পরিকল্পনার আওতায় সফলভাবে এনইডি বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে পারস্পরিক পরামর্শ গ্রহণের ব্যবস্থা থাকবে।
দেশে আইআরএয়ের অনুমোদিত সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্পটি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের (ডিপিই) সহায়তা এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বাংলাদেশ সময় ১৯৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১১