বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো স্বাস্থ্যবিষয়ক একদিনের সফটওয়্যার প্রদর্শনী। এ প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সংগঠনটির সভাপতি মাহবুব জামান।
এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেসিস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন লোকাল মার্কেট ডেভেলপমেন্টের সভাপতি উত্তম কুমার পাল। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বেসিস মহাসচিব ফোরকান বিন কাশেম এবং অন্যতম পরিচালক শেখ কবির আহমেদ।
সভাপতি মাহবুব জামান জানান, আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশের স্বাস্থ্য সবো শল্পিকে এগিয়ে নিতে বেসিস সদস্যদের এ উদ্যোগ ভবিষ্যতে সহায়ক হবে।
স্বাস্থ্য সেবায় আইসিটির ব্যবহার শুধু স্বাস্থ্য সেবাকে আধুনিকতার ছোঁয়া দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। আইসিটির পরিকল্পিত ব্যবহার স্বাস্থ্য সেবায় আনতে পারে ভিন্ন মাত্রা। এর মাধ্যমে চিকিৎসকরা রোগী এবং রোগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত নিতে পারে। আইসিটির ব্যবহার স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর গুনগত মান বৃদ্ধি করতে পারে। স্বাস্থ্যসেবায় জনসচেতনা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পাবে।
এ সব প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা তাদের জন্য নির্ধারিত প্রদর্শন বুথে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল, পণ্য ও সবোর বর্ণনা উপস্থাপন করেন। গবেষণা সমীক্ষা মতে, গত এপ্রিল পর্যন্ত দেশে ব্যক্তিমালীকানাধীন ক্লিনিকের সংখ্যা ১০৩২৩টি। ডিরেক্টরেট জেনারেল অব হেলথ সার্ভিসেসের হিসাব মতে, দেশে ২২৭৭টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ৬০৫টি হাসপাতাল এবং ১৬৭২টি স্বাস্থ্য সম্পর্কিত অন্য সব প্রতিষ্ঠান আছে।
দেশের স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোর অন্যতম বড় প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলোর ইনভেন্টরি এবং লজিস্টিকসের দূর্বল ব্যবস্থাপনা। একটি পূর্ণাঙ্গ সফটওয়্যার একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থপনা খুব সহজেই সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
স্বাস্থ্যকন্দ্রেরে বিভিন্ন বিভাগ যেমন ওপিডি, আইপিডি, ফার্মেসি, প্যাথোলজি, ডক্টরস শিডিউলিং, সিকিউরিটি অ্যান্ড অ্যাকসেস কন্ট্রোল, হসপিটাল অ্যাকাউন্টস, ইনভেন্টরি হসপিটালের জন্য আছে বিভিন্ন রকম সলিউশন। এটি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের দক্ষ্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে।
সফটওয়্যারের মাধ্যমে একজন চিকিৎসক যেমন তার রোগীর আগের তথ্য সম্পর্কে জানতে পারেন। এভাবেই ওয়েব এনাবেল সফটওয়্যারের মাধ্যমে একজন রোগী ডাক্তারের সঙ্গে তার সাক্ষাতের সময় ঠিক করতে পারেন।
সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর দক্ষ্যতা বৃদ্ধি এখন সময়ের দাবি। ডিজিটাল বাংলাদেশের আর্শিবাদ থেকে দেশের গুরুত্বর্পূণ এ খাতকে দূরে রাখার অর্থ হচ্ছে এ খাতকে অবহেলা করা।
এ মুহূর্তে দেশেও বিশ্বমানের সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে। সফটওয়্যার দিয়ে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি, ব্যবসায়িক এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের দৈনন্দিন কাজ ছাড়াও প্রয়োজনীয় সব কাজ সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুসম্পন্ন করতে পারে।
বাংলাদেশ সময় ২০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০১১