ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

এরদোয়ান নাকি কিলিচদারোলু, কে হবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৭ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এরদোয়ান নাকি কিলিচদারোলু, কে হবেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট?

নিজেদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে আজ (২৮ মে) আবারও ভোট দেবেন তুরস্কের নাগরিকেরা। আজই নির্ধারণ হবে আগামী পাঁচ বছর তুরস্ককে কে নেতৃত্ব দেবেন।

প্রথম পর্বের ভোটে এগিয়ে থাকলেও নির্বাচিত হতে পারেননি তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। কারণ তুরস্কের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী প্রেসিডেন্টকে ৫০ শতাংশ সমর্থন পেতে হয়।

গত ১৪ মে অনুষ্ঠিত হয় তুরস্কের প্রথম দফা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে এরদোয়ান পেয়েছিলেন ৪৯ দশমিক ৫২ শতাংশ ভোট। অল্পের জন্য ঝুলে যায় তার ভাগ্য।

অন্যদিকে, এই নির্বাচনে এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ কামাল কিলিচদারোগলু পেয়েছিলেন, ৪৪ দশমিক ৮৮ শতাংশ ভোট। ফলে দেশটির নিয়ম অনুযায়ী ২৮ মে (আজ) ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে।

ওই একই ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন পাঁচ দশমিক ২০ ভাগ ভোট। গত ২২ মে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে দ্বিতীয় দফা ভোটে এরদোয়ানকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন তিনি।

প্রথম পর্বের ভোটের এরদোয়ানের দল পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ওগানের বক্তব্য, তার দল মনে করে, পার্লামেন্টে যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে, প্রেসিডেন্টও সেই দল থেকেই হওয়া উচিত। আর তাই এরদোয়ানকে সমর্থনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

সিনান ওগান বলেন, রাজনৈতিক মতানৈক্য থাকতে পারে। কিন্তু সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। আর সে কারণেই আমি এরদোয়ানকে সমর্থন করছি।

তার যুক্তি, এরদোয়ানের প্রধান প্রতিপক্ষ কিলিচদারোলু তেমনই এক বিরোধী জোটের প্রতিনিধি যে জোটকে কোনোভাবেই সমর্থন করা যায় না।

এই সমর্থনের কারণে এরদোয়ানের জয়কে সময়ের অপেক্ষা হিসেবে দেখছেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকের দাবি, এটাই শেষ কথা নয়। ভোটের দিন দেশটির জনগণই সিদ্ধান্ত নেবেন, কার ওপর তারা আস্থা রাখতে চান।

দেশটির ভোটাররা এমন একটি সময়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন, যার তিন মাস আগেই ভয়ংকর ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গেছে দেশটি।

নানা হিসাবেই এবার বেশ গুরুত্বপূর্ণ তুরস্ক নির্বাচন। শেষ পর্যন্ত যিনি জয়ী হবেন, তিনি শুধু ন্যাটোভুক্ত দেশটির মানুষের নেতৃত্বই দেবেন না, বরং গভীর খাদে পড়া অর্থনীতিকে টেনে তোলা হবে তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, তুরস্কে গত বছর মূল্যস্ফীতি ৮৫ শতাংশে পৌঁছেছে। গত এক দশকে ডলারের বিপরীতে দেশটির মুদ্রা লিরার মান তার মূল্যের এক দশমাংশে নেমে এসেছে।

সূত্র: ডয়চে ভেলে

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৩ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০২৩
এমএইচএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।