ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মণিপুরে ফের সহিংসতা, নিহত ৯ 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪০ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
মণিপুরে ফের সহিংসতা, নিহত ৯ 

ভারতের মণিপুর রাজ্যে ইম্ফলের পূর্ব জেলায় মঙ্গলবার রাতে ফের সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন নিহত ও ১০জন আহত হয়েছেন।

মে মাসের শুরু থেকে সহিংসতার সূত্রপাত। মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে জাতিগত সংঘর্ষের জেরে সহিংসতার শুরু। এই নিয়ে প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়াল ১১৫ জনে।  

সূত্রের খবর, ইম্ফল পূর্ব ও কাংপোকপি গ্রামের সীমান্ত বরাবর হিংসার ঘটনা হয়েছে। রাত ১০টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে এই ঘটনা। কুকি সম্প্রদায়ের বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতকারীরা।  

এদিকে একাধিক মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে, যারা মারা গিয়েছেন তারা মেইতেই সম্প্রদায়ের। তবে হিন্দুস্তান টাইমস তা নিশ্চিত করতে পারেনি। সূত্রের খবর, সুরক্ষা বাহিনী ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় যায়। তারপরই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই।  

ইম্ফল পূর্বের পুলিশ সুপার কে শিবাকান্ত সিং জানিয়েছেন, ১০টা সাড়ে ১০টা নাগাদ গ্রামে গুলির লড়াই চলে। ৯ জনের মৃত্যু হয়। ১০ জন আহত হন। সমস্ত আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  

তবে পুলিশ জানিয়েছে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। এদিকে কুকি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন, সশস্ত্র মেইতেইরা হামলা চালিয়েছিল। প্রথমদিকে  কুকি স্বেচ্ছাসেবকরা পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করেন। তারাও সশস্ত্র ছিলেন। পরে হামলার মাত্রা বাড়তে থাকায় তারা এলাকা ছেড়ে পালান। এরপর আসাম রাইফেলস এলাকায় যায়। এরপর শুরু হয় গুলির লড়াই। তার জেরেই মৃত্যু ও আহতের সংখ্যা বাড়তে থাকে।  

এদিকে মণিপুরে অশান্তি থামাতে কেন্দ্রীয় সরকারও হস্তক্ষেপ করেছিল। সম্প্রতি মণিপুরের চারদিনের সফরে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।

সবার কাছে তিনি অনুরোধ করেন যাতে মণিপুরে দ্রুত শান্তি ফিরিয়ে আনা যায়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তখন বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এই সুন্দর রাজ্যে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে পারব।

সফরের একেবারে শেষ দিনে তিনি বলেন, সবাই শান্তি বজায় রাখুন। যথাসম্ভব শিগগিরই পরিস্থিতি স্বাভাবিক করুন।  

সেইসঙ্গে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য তিনি আবেদন করেন। এমনকি অস্ত্র জমা দেওয়ার জন্যও তিনি অনুরোধ করেন।

অন্যদিকে মণিপুর হিংসার ঘটনার তদন্তে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি তৈরি করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।  

এই তিন সদস্যের তদন্ত কমিটির একেবারে মাথায় গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি অজয় লাম্বা। আরও যে দুজন এই প্যানেলে রয়েছেন, তারা হলেন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস হিমাংশু শেখর দাস ও আইপিএস অলোকা প্রভাকর।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।