বিকেলে খেলতে নেমে ফুটবল ফাটিয়ে ফেলার কারণে ৪৫ শিশু শিক্ষার্থীকে অমানবিক শাস্তি দিলেন হোস্টেল সুপার। তাদেরকে দুই দিন খাবার না দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
ভারতের ছত্তিশগড় রাজ্যের সুরুজপুর এলাকায় একটি মিশনারি স্কুলে এমন অমানবিক আচরণ করেছেন হোস্টেল সুপার ফাদার পিটার সাদম।
হোস্টেল সুপারের পদত্যাগ ও শাস্তি দাবিতে শিশুদের অভিভাবক ও স্থানীয়রা বিক্ষোভ করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে শিশুদের খাবার বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনাটি।
প্রাথমিক তদন্তে হোস্টেল সুপার পিটার সাদমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে স্কুল কমিটি।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, ওই মিশনারি স্কুলে দরিদ্র ঘরে সন্তানেরা পড়ে। মাত্র দুটি কক্ষে গাদাগাদি করে ১৪১ শিক্ষার্থীকে রাখা হয় সেখানে।
গত ২৮ আগস্ট বিকেলে শিশুরা খেলতে থাকলে একপর্যায়ে ফুটবল ফেটে যায়। এতে প্রচণ্ড রেগে যান ফাদার পিটার সাদম। তিনি শিশুদের খাবার বন্ধ করে দেন। বিপাকে পড়ে শিশুরা। বিষয়টি স্কুলের আশপাশের বাড়ির মানুষের জানলে, তারা শিশুদের জন্য বিস্কুট, রুটি নিয়ে আসেন।
এমন শাস্তি দিয়ে অনুশোচনায় ভুগছেন না হোস্টেল সুপার পিটার সাদম।
তদন্ত কমিটির কাছে তিনি বলেছেন, ‘কীভাবে লড়াই করে টিকে থাকতে হয়, তাদের তা শেখা উচিত। খারাপ কাজের জন্য তাদের শাস্তি হওয়া উচিত। ’
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০২৩
এসএএইচ