গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেছেন, অবরুদ্ধ উপত্যকায় চিকিৎসা সুবিধাগুলো ভেঙে পড়ার দ্বারপ্রান্তে।
গাজা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মেদহাত আব্বাস আল জাজিরাকে বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় ওষুধ, চিকিৎসা সরবরাহ এবং ল্যাব পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় রিএজেন্টের ঘাটতি রয়েছে।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুব জটিল। আমাদের কাছে হাজার হাজার আহত বাসিন্দা আসছেন। এতে এখানকার চিকিৎসা সুযোগ-সুবিধার ওপর অনেক চাপ পড়ছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সক্ষমতা ২ হাজার শয্যার। আমরা ভেঙে পড়তে চলেছি। ওষুধের ঘাটতির কারণ হলো, আমাদের এক মাসে যা লাগে, এখন এক দিনেই তা লাগছে। পরিস্থিতি খুব খারাপ। আমাদের পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা হয়েছে। আমাদের পাঁচ সহকর্মী নিহত হয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের সরানোর জন্য কোনো নিরাপদ পথ নেই।
গেল শনিবার ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। জবাবে ইসরায়েলও হামলা চালানো শুরু করে। হামলার এক পর্যায়ে গাজায় সর্বাত্মক অবরোধ আরোপ করে ইসরায়েল। সেখানে পানি, খাবার ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধেরও নির্দেশ দেয়।
মঙ্গলবার আল জাজিরা জানায়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি সেনারা বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে। সেখানে হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকা ও মিশরের সিনাই উপদ্বীপের মধ্যকার রাফাহ সীমান্তেও বোমা হামলা হয়েছে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গাজার হাসপাতালগুলোতে জরুরি চিকিৎসা সহায়তাসামগ্রীর প্রবেশ নিশ্চিতে মানবিক করিডোর চালুর আহ্বান জানিয়েছে
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাজায় ৭৭০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আর ইসরায়েলে নিহত হয়েছেন ৯ শতাধিক।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১০, ২০২৩
আরএইচ