ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে সরাসরি হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধে জড়ায় তাহলে সংগঠনটি লেবাননে ‘ধ্বংস’ ডেকে আনবে।
রোববার (২২ অক্টোবর) আল জাজিরার লাইভ আপডেট প্রোগ্রাম থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের সঙ্গে হিজবুল্লাহ ‘দ্বিতীয় যুদ্ধ’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, যদি তারা যুদ্ধে আসে ইসরায়েল ‘অকল্পনীয়’ মাত্রায় পাল্টা আক্রমণ করবে এবং তা লেবাননে ধ্বংস ডেকে আনবে।
রোববার লেবাননের সীমান্তের কাছে ইসরায়েলি কমান্ডোদের দেওয়া এক ব্রিফিং অনুষ্ঠানে যোগ দেন নেতানিয়াহু। সেখানে তিনি আরও বলেন, গাজার যুদ্ধে হিজবুল্লাহ পুরোপুরি প্রবেশের সিদ্ধান্ত নেবে কিনা তা আমি এখনই বলতে পারছি না। তবে ইসরায়েলি সেনাদের নিজ দেশের জন্য অবদান রাখতে আহ্বান জানিয়েছেন।
সেনাদের নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের জন্য হয় করো, না হয় মরো।
এর আগে স্থানীয় সময় বিকেলে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, নিজেদের উত্তর ফ্রন্টে যুদ্ধে জড়ানোর কোনো আগ্রহ ইসরায়েলের নেই। হিজবুল্লাহ সংযত থাকলে সীমান্ত পরিস্থিতি যেমন আছে তেমনই রাখা হবে। কিন্তু হিজবুল্লাহ যদি যুদ্ধের পথ বেছে নেয়, তবে তাদের ‘চরম মূল্য’ দিতে হবে।
হামাসের হামলার পর গাজায় আগ্রাসন চালাচ্ছে ইসরায়েল। আবার হিজবুল্লাহ ঘোষণা দিয়েছে তারা হামাসের সঙ্গে একাত্ম। পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো বলছে যেকোনো সময় ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে হিজবুল্লাহ। সম্প্রতি এমন নমুনা দেখাও গেছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস অন্যদিকে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্রগোষ্ঠী হিজবুল্লাহ- এ দুয়ে মাথা ব্যথা উঠেছে ইসরায়েলের। হামাসকে টেক্কা দিতে পারলেও হিজবুল্লাহকে রুখে দেওয়া ইসরায়েলের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়বে। তবে, হিজবুল্লাহকে রুখে দিতে নানা পরিকল্পনা সাজাচ্ছে ইসরায়েল।
এই পরিকল্পনা কতখানি কাজে দেবে সে ব্যাপারেও আছে সন্দেহ। কেননা, হামাসের চেয়ে বহুগুণ বড় সংগঠন হিজবুল্লাহ। তারা আবার সরাসরি ইরান থেকে সামরিক সহায়তা প্রাপ্ত। এই অবস্থায় ইসরায়েলের জন্য এ সংগঠনটিকে মোকাবিলা করা কঠিন হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২৩
এমজে