১৫ নভেম্বর ফ্রান্সিসকোর বে এরেনায় আয়োজিত বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে স্বৈরশাসক বা একনায়ক হিসেবে আবারও আখ্যায়িত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
আজ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
রয়টার্স জানায়, বেশ কয়েক মাসের পরিকল্পনায় ও প্রস্তুতির পর এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনোমিক কোঅপারেশন (এপিইসি) সম্মেলনের ফাঁকে বুধবার সান ফ্রান্সিসকোর বে এরেনায় বৈঠক করেন শি জিনপিং ও জো বাইডেন।
শি জিনপিংয়ের সঙ্গে চার ঘণ্টা আলোচনার পর প্রেসিডেন্ট বাইডেন একক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনের তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়, গত জুনে শি জিনপিং একজন স্বৈরশাসক বলেছিলেন আপনি, এখনও তাই মনে করেন কিনা।
জবাবে বাইডেন বলেন, শি এই অর্থে একজন স্বৈরশাসক যে, তিনি এমন একটি রাষ্ট্র পরিচালনা করেন যেটি কমিউনিস্ট দেশ এবং যা আমাদের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা সরকার দ্বরা পরিচালিত হয়।
বৈঠক সম্পর্কে বাইডেন বলেন, বৈঠকে তারা সব সময় সবকিছুতে একমত হননি। বৈঠকে জিনজিয়াং, তিব্বত ও হংকংয়ে চীনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেছেন বাইডেন। চীনে আটক মার্কিন নাগরিকদের বিষয়টি শির কাছে বাইডেন তুলে ধরে তাদের মুক্তির আশা করছে যুক্তরাষ্ট্র।
এছাড়া বৈঠকে তাইওয়ানের বিষয়ে মার্কিন নীতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন বাইডেন। মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাইওয়ান, ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য ইস্যু নিয়েও দুই নেতার মধ্যে কথা হয়েছে।
বৈঠকে শি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়িয়ে যাওয়া বা স্থানচ্যুত করার কোনো পরিকল্পনা চীনের নেই। তাই যুক্তরাষ্ট্রেরও চীনকে দমন পরিকল্পনা করা উচিত নয়। উভয় পক্ষের উচিত পরস্পরের নীতি বোঝা।
দুই নেতার বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন উচ্চপর্যায়ের সামরিক যোগাযোগ আবার চালু করতে রাজি হয়েছে। দুই দেশ ফেন্টানাইল উৎপাদন রোধে পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২৩
এমএম