দ্বিতীয় দফায় মুক্তি পেতে যাওয়া জিম্মিদের তালিকা ইসরায়েলের কাছে পৌঁছে দিয়েছে হামাস। সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
নেতানিয়াহুর কার্যালয় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় দিন হামাস যে কয়জন জিম্মিকে মুক্তি দেবে তার তালিকা পেয়েছে বলে জানিয়েছে। তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের পর জিম্মি ইসরায়েলিদের পরিবারকে জানানো হবে।
তবে হামাস দ্বিতীয় দফায় কতজনকে মুক্তি দেবে, সে বিষয়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় কোনো তথ্য জানা যায়নি।
কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল ও হামাস। ইসরায়েলি কারাগারে বন্দি থাকা ১৫০ ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুকে ছেড়ে দেওয়ার শর্তে অনুযায়ী আজ ২৪ জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের মধ্যে ১২ জন থাইল্যান্ডের নাগরিক, বাকিরা ইসরায়েলের।
অন্যদিকে ৩৯ জন ফিলিস্তিনি ইসরায়েলি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন, যেখানে ২৪ নারী ও ১৫ শিশুকে মুক্তি দেওয়া হয়। কারাগারে বন্দি ফিলিস্তিনিদের তালিকার চার ভাগের এক ভাগ বন্দীকেও দোষী সাব্যস্ত করা হয়নি। এ তালিকার ৪০ শতাংশেরই বয়স ১৮-এর নিচে। এর মধ্যে এক কিশোরী ও ৩২ জন নারীও রয়েছেন।
যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ২০০ ট্রাক মিশর থেকে রাফা ক্রসিং দিয়ে গাজায় প্রবেশ করেছে। এগুলো চিকিৎসাসামগ্রী, জ্বালানি, রান্নার গ্যাস, পানিসহ খাদ্যসামগ্রী ছিল বলে জানা গেছে।
চুক্তি অনুযায়ী- গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ৪ ট্রাক জ্বালানি এবং রান্নার গ্যাস ঢোকার অনুমতি পাবে। এছাড়া, মিশর থেকে গাজা উপত্যকায় প্রতিদিন ২০০ ট্রাক ত্রাণ ও চিকিৎসাসামগ্রী আনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
এমএম