ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি যাচ্ছেন চিলির শ্রমিকরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০
নির্ধারিত সময়ের আগেই বাড়ি যাচ্ছেন চিলির শ্রমিকরা

কোপিয়াপো: চিলির কয়েকজন খনিশ্রমিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবারের মধ্যেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন। দায়িত্বরত কর্মকর্তারা এমনই জানিয়েছেন।

খবর বিবিসি’র।

ভূগর্ভের নিচে ৬৯ দিন আটকে থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ খনিশ্রমিকদের সবাইকে ভূ-পৃষ্ঠের ওপরে নিয়ে আসা হয়।

শ্রমিকদের কয়েকজনকে এখনো দাঁত ও চোখের চিকিৎসা দেওয়া হবে। এর মধ্যে দুইজন ফুসফুস সংক্রান্ত রোগ সিলিকোসিস-এ আক্রান্ত হয়েছেন।

খনির ভিতরে দীর্ঘদিন থেকেও সাধারণভাবে তাদের সুস্থ অবস্থার কারণে চিকিৎসকরা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।

সর্বশেষ লুইস উরসুয়াকে খনির অভ্যন্তর থেকে উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রায় একটি নিখুঁত উদ্ধার অভিযান শেষ করার পর চিলির সরকারে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বৃহস্পতিবার গ্রিনিচ ০০৫৫টায় উরসুয়া ৫৪ সেন্টিমিটার ব্যাসের ক্যাপসুলযোগে ভূ-পৃষ্ঠে উঠে আসেন। এ অভিযান সম্পন্ন করতে ২২ ঘণ্টারও বেশি লাগে।

চিলির প্রেসিডেন্ট সেবাস্তিয়েন পিনেরা জানান, তার দেশ এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ়। হয়ত এমন সময় আর কখনোই আসবে না।

খনিশ্রমিকদের সবাই এখন কোপিয়াপোর অন্ধকার হাসপাতালের দুই ওয়ার্ডে রয়েছে। আলোর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য তাদের অন্ধকারে রাখা হয়েছে।

হাসপাতালের বাইরে থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতা রাজেশ মিরচান্দানি জানান, সবচেয়ে প্রবীণ শ্রমিক মারিও গোমেসকে নিউমোনিয়া ও সিলিকোসিস-এর চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। মারিও সেপুলভেদা’র ফুসফুসের অসুখ রয়েছে। অন্তত ৪৮ ঘণ্টা তাদের হাসপাতালে অবস্থান করতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী হাইমে মানালিচ নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, শ্রমিকদের কেউ কেউ আগেভাগেই বাড়ি যেতে পারবেন। অনেকেরই ঘুম হয়নি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে তারা।

ফার্স্ট লেডি সেসিলিয়া মোরেলও নিশ্চিত করে বার্তাসংস্থা এপিকে জানান, হাসপাতাল থেকে তাদের নির্ধারিত সময়ের আগেই ছেড়ে দেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।