গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনের কবি রেফাত আলারির নিহত হয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের লেখকদের এই নেতা গাজাবাসীর দুর্দশার কথা বিশ্বকে জানাতে তার লেখাগুলো ইংরেজিতে প্রকাশ করতেন।
শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নিহত রেফাত আলারিরের বন্ধু আহমেদ আলনাউক সামাজিক গণমাধ্যম এক্স এর এক বার্তায় বিষয়টি নিশ্চত করেন। তিনি তার বার্তায় লেখেন, ‘রেফাতের হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক, বেদনাদায়ক এবং আক্রোশজনক। এটি একটি বিশাল ক্ষতি। ’
গাজার কবি ও নিহত রেফাতের আরেক বন্ধু মোসাব আবু তোহা সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার হৃদয় ভেঙে গেছে। কয়েক মিনিট আগে আমার বন্ধু এবং সহকর্মী রেফাত আলারিরকে পরিবারসহ হত্যা করা হয়েছে। ’
হামাস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গাজা উপত্যকার উত্তরে ইসরায়েল আরও হামলা চালিয়েছে।
অক্টোবরে শুরু হওয়া যুদ্ধের কয়েকদিন পর আলারির ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, তিনি যুদ্ধের কেন্দ্রস্থল উত্তর গাজা ছেড়ে যাবেন না। আর সেখানেই এই কবি পরিবারসহ নিহত হলেন।
গাজার ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন আলারির। তিনি সেখানে অন্যান্য বিষয়ের পাশাপাশি শেক্সপিয়র নিয়ে পড়াতেন। এছাড়া ‘উই আর নট নাম্বারস’ নামে একটি প্রকল্পের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি।
ওই প্রকল্পের আওতায় গাজাভিত্তিক লেখকরা দেশের বাইরের অভিজ্ঞ লেখকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেতেন। আর বিদেশী লেখকরা গাজার লেখকদের ইংরেজিতে লেখার বিষয়ে দীক্ষা দিতেন। এছাড়া প্রকল্পের আওতায় ‘গাজা রাইটস ব্যাক’ নামে একটি বইয়ের সম্পাদনার কাজ করা হয়। তাতে তরুণ ফিলিস্তিনি লেখকদের জীবন-অভিজ্ঞতার বর্ণনা ছিল। প্রকল্পের আওতায় ‘গাজা আনসাইলেন্সড’ নামে অপর একটি বই প্রকাশিত হয়।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর শুরু হওয়া যুদ্ধের পর ইসরায়েল গাজায় একটি বিশাল সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের মতে, এতে ১ হাজার ২০০ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।
অপরদিকে হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, ইসরায়েলের নিরলস বোমাবর্ষণে পুরো ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ১৭ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৮, ২০২৩
এফআর