জাতিসংঘ বলছে, গাজার কেন্দ্রস্থলে শরণার্থী শিবিরগুলোতে ইসরায়েলি সেনারা ঢুকে পড়ার কারণে ওই এলাকা ছেড়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় দেড় লাখ ফিলিস্তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শী এবং হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের পূর্বাঞ্চলের দিকে চলে এসেছে ইসরায়েলি ট্যাংক।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সম্প্রতি তাদের স্থল অভিযান সম্প্রসারিত করেছে মূলত বুরেইজ ও পার্শ্ববর্তী নুসেইরাত ও মাঘাজি শরণার্থী শিবিরকে টার্গেট করে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার ইসরায়েলি বোমা হামলায় গাজাজুড়ে বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের বন্দুকধারী সদস্যদের একটি আন্তঃসীমান্ত হামলার জের ধরে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। এ ছাড়া আরও ২৪০ জনকে জিম্মি করা হয়।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে গত ১১ সপ্তাহের যুদ্ধে গাজায় ২১ হাজার ৩০০ মানুষ নিহত হয়েছেন যাদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উপত্যকার একটি বিস্তৃত এলাকা খালি করার ঘোষণা দিয়েছে। এই এলাকার মধ্যে গাজার কেন্দ্রস্থলে থাকা বুরেইজ ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবির রয়েছে। এলাকাটির প্রায় ৯০ হাজার বাসিন্দা এবং ৬১ হাজার গৃহহীন বাসিন্দাকে দক্ষিণাঞ্চলের দেইর আল-বালাহ শহরের দিতে যেতে বলা হয়েছে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার জাতিসংঘ বলেছে যে, তাদের আসলে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই কারণ দেইর আল-বালাহ এরইমধ্যে কানায় কানায় পূর্ণ। হাজার হাজার বাস্তুচ্যুত মানুষ সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।
জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর গাজাবিষয়ক পরিচালক টম হোয়াইট বলেন, আরও বেশি মানুষকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলে রাফা শহরের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
আরএইচ