ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার একটি বিস্তারিত শান্তি পরিকল্পনার প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি আরব দেশ। এর মধ্যে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের জন্য একটি দৃঢ় সময়রেখার বিষয়টিও রয়েছে।
বৃহস্পতিবারের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানা গেছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভার জ্যেষ্ঠ সদস্যদের মধ্যে তা ইতোমধ্যে নিন্দার জন্ম দিচ্ছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।
ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে যুক্তরাষ্ট্র ও আরব কর্মকর্তাদের উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই পরিকল্পনার বিষয়ে ঘোষণা আসতে পারে, যদিও সময়টি মূলত ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধবিরতির চুক্তির ওপর নির্ভর করে।
প্রস্তাবিত পরিকল্পনায় এমন পদক্ষেপ রয়েছে যা ইসরায়েল আগেই প্রত্যাখ্যান করেছে। এ পরিকল্পনায় পশ্চিম তীর থেকে বহু বসতি সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও রয়েছে। আরও রয়েছে, পূর্ব জেরুজালেমে ফিলিস্তিনের রাজধানী স্থাপন এবং পশ্চিম তীর ও গাজার জন্য একটি সম্মিলিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও সরকার গঠন।
ওয়াশিংটন পোস্ট প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও এর আরব অংশীদাররা আশা করছে, সৌদি আরবের মতো আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিশ্চিতকরণ এবং স্বাভাবিকীকরণ ইসরায়েলকে পরিকল্পনায় যেতে রাজি করাতে পারে।
কর্মকর্তারা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেন, তারা আশা করেন, ইসরায়েল ও হামাস সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে রাজি হলেই পরিকল্পনাটি প্রকাশ্যে আনা হবে। এ যুদ্ধবিরতির সঙ্গে গাজায় আরও মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতির সঙ্গে ১৩৪ জিম্মির মুক্তির বিষয়টিও যুক্ত।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি চলাকালে প্রস্তাবটি বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এর মধ্যে একটি অন্তর্বর্তী ফিলিস্তিন সরকার গঠন করাও লক্ষ্যও রয়েছে, যেটি গাজাও শাসন করতে পারে।
গাজায় যুদ্ধ শেষ করার জন্য স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আহ্বানে সমর্থন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের ভাষ্য, হামাসকে শেষ করার মাধ্যমে ইসরায়েলের আত্মরক্ষা করা প্রয়োজন। তবে কর্মকর্তারা সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে একটি যুদ্ধবিরতির কথা বলেছেন, যেটি বিরোধ শেষ করবে।
মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান মঙ্গলবার বলেন, জিম্মি মুক্তি চুক্তির অংশ হিসেবে আমরা সাময়িক যুদ্ধবিরতি চাই এবং এরপর স্থায়ী কিছু।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
আরএইচ