গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান শেষ করার পর ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন না বলে তার লিকুদ পার্টির অজ্ঞাত সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে ‘ওয়াইনেট’। আগাম নির্বাচনের ক্রমবর্ধমান দাবির মধ্যে ইসরায়েলি নেতা শনিবার জোর দিয়ে বলেন যে এখন ‘রাজনীতির সময় নয়’ এবং পরবর্তী ভোট ‘কয়েক বছরের মধ্যে’ অনুষ্ঠিত হওয়ার ইঙ্গিত দেন।
একাধিক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের আকস্মিক আক্রমণের পর থেকে নেতানিয়াহু এবং তার লিকুদ পার্টির জনপ্রিয়তা কমছে। গত ডিসেম্বরে জরিপের ফলাফলের বরাত দিয়ে ইসরায়েল ডেমোক্রেসি ইনস্টিটিউট দাবি করে, দুই-তৃতীয়াংশের বেশি ইসরায়েলি চায়, গাজায় যুদ্ধ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।
চলতি মাসের শুরুর দিকে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, এখনই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বিরোধী দলগুলো ইসরায়েলি পার্লামেন্টের ১২০টি আসনের মধ্যে ৭৫টি আসন পাবে।
শনিবার ওয়াইনেট তাদের প্রতিবেদনে লিকুদের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জ্যেষ্ঠ সদস্যকে উদ্ধৃত করে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে যে, ৭ অক্টোবর যিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, যুদ্ধ শেষে তার ক্ষমতাও শেষ হবে।
নেতানিয়াহুর দলের আরেক কর্মী বলেন, নেতানিয়াহু না চাইলেও এই যুদ্ধ শেষে আমরা নির্বাচনে যাব। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক লিকুদ নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তার নিজের রাজনৈতিক শক্তির সদস্য বা ক্ষমতাসীন জোটের অন্য দলগুলোর দ্বারা আগাম নির্বাচন ডাকতে বাধ্য হবেন। সবাই বুঝতে পারছে যে এটাই ঘটতে যাচ্ছে।
শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে নেতানিয়াহু আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে জোর দিয়ে বলেন, নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী অর্থাৎ ২০২৬ সালের অক্টোবরে ভোট হওয়া উচিত।
নেতানিয়াহু হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজন হলে পরিস্থিতি হামাসের হাতে চলে যাবে।
বিরোধী ইয়েশ আতিদ পার্টি প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘একজন অযোগ্য প্রধানমন্ত্রীর আরেকটি পারফরম্যান্স’ হিসেবে বর্ণনা করেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই প্রধানমন্ত্রী জনগণের আস্থা হারিয়েছেন এবং ‘হলোকাস্টের’ পর থেকে ইহুদি জনগণের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতার দায় থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সূত্র: আরটি.কম
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক