মিয়ানমার থেকে পারমাণবিক বোমা তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম সংগ্রহ করে, তা চোরাচালান করার চেষ্টার অভিযোগে জাপানি ইয়াকুজা মাফিয়া চক্রের এক সদস্যকে ৪৫ বছরের সাজা দিল যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগ।
বিবিসি বলছে, ৬০ বছর বয়স্ক তাকেশি ইবিসাউয়া নামের এই জাপানি নাগরিক ইউরেনিয়াম ও প্লুটোনিয়াম চোরাচালান করার চেষ্টা করছিল যার গন্তব্য ছিল ইরান এবং পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্য এই নিউক্লিয়ার মেটেরিয়াল চোরাচালান করা হচ্ছিল।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ বলেছে, ইবিসাওয়া জাপানি ইয়াকুজা মাফিয়া সিন্ডিকেটের সিনিয়র সদস্য, যাদের শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং যুক্তরাষ্ট্রে চোরাচালান সিন্ডিকেট রেয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস জানায়, ইবিসাউয়া এবং তার সহকর্মীরা মার্কিন মাদক বিরোধী সংস্থা ড্রাগ এনফোর্সম্যান্ট এজেন্সি (ডিইএ) এর আন্ডার কাভার এজেন্ট, যারা নিজেদেরকে ইরানি এক জেনারেলের কাছের লোক বলে পরিচয় দিয়েছিল; তাদের কাছে নিউক্লিয়ার মেটেরিয়ালের সেম্পল দেখিয়েছিল। ইবিসাউয়া জানিয়েছিল এই নিউক্লিয়ার মেটেরিয়াল এর বিনিময়ে তারা মিয়ানমারের একটি বিদ্রোহী গ্রুপের জন্য বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহ করার পরিকল্পনা করছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস আরও জানায়, ল্যাবে পরীক্ষা করে দেখা গেছে নিউক্লিয়ার মেটেরিয়ালতে গুলো থাকা আইসোটোপ গুলো পারমাণবিক বোমার উপযোগী অর্থাৎ যথেষ্ট পরিমাণে উৎপাদন করা গেলে এ থেকে পারমাণবিক বোমায় ব্যবহার উপযোগী প্লুটোনিয়াম পাওয়া সম্ভব।
মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইরাবতী জানায়, ইবিসাউয়া ছদ্মবেশি মার্কিন গোয়েন্দাদের জানিয়েছিল তার কাছে ২ হাজার কেজি থোরিয়াম ২৩২ এবং ১০০ কেজি কম্পাউন্ড ইউ৩০৮ ইউরেনিয়াম রয়েছে। ইউ৩০৮ কম্পাউন্ড, ইউরেনিয়াম উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ‘ইয়োলো-কেক’ নামে বেশি পরিচিত। থাই পুলিশ ওই নমুনা জব্ধ করে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠায়।
ইবিসাউয়াকে চোরাকারবারের মাধ্যমে বিমান বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র কেনার চেষ্টা করার অপরাধে ২৫ বছর এবং নিউক্লিয়ার মেটেরিয়াল চোরাচালান চেষ্টার অভিযোগে ২০ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৪
এমএম