যুক্তরাজ্য ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করবে না। ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন এমনটি বলেছেন।
গাজায় ইসরায়েলের হামলা শুরুর ছয় মাস হয়ে গেল। এর সূত্রপাত হয়েছিল ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে হামলা চালানোর ঘটনায়।
ইসরায়েলে অস্ত্র রপ্তানির অনুমতি দেয়, এমন লাইসেন্স প্রত্যাহার করার জন্য প্রবল চাপের মুখে পড়েছে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সরকার।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন বলেন, (অস্ত্র) রপ্তানির লাইসেন্সের বিষয়ে সর্বশেষ মূল্যায়ন আমাদের অবস্থানকে অপরিবর্তিত রাখে। আমিসহ অন্য মন্ত্রীরা যে পরামর্শ পেয়েছি, তার সঙ্গে এটি সামঞ্জস্যপূর্ণ।
২০২২ সালে ব্রিটেন ৪২ মিলিয়ন পাউন্ড (৫৩ মিলিয়ন ডলার) পরিমাণ অর্থের অস্ত্র ইসরায়েলে সরবরাহ করেছিল।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের তিন সাবেক জ্যেষ্ঠ বিচারক ছয় শতাধিক আইনজীবীর সঙ্গে মিলে সরকারের প্রতি ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রি বন্ধের আহ্বান জানান। তারা বলেন, এটি গাজায় গণহত্যায় ব্রিটেনকে জড়াতে পারে।
ব্রিটেনে কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দলও সরকারের প্রতি অস্ত্র বিক্রির লাইসেন্স প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ক্যামেরন বলেন, গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবেশাধিকার সমস্যা নিয়ে ব্রিটেনের গভীর উদ্বেগ অব্যাহত রয়েছে।
মঙ্গলবার ব্লিঙ্কেন বলেন, তিনি আশা করছেন, রাফাতে ইসরায়েলের সম্ভাব্য সামরিক অভিযান নিয়ে আগামী সপ্তাহে ইসরায়েলি ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ৭০৫৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
আরএইচ