মার্কিন গোপন দলিল ফাঁস করে সাড়া ফেলে দেওয়া ওয়েবসাইট উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ অস্ট্রেলিয়ায় ফিরেছেন। এর আগে সমঝোতা চুক্তির পর যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
অ্যাসাঞ্জ ক্যানবেরা বিমানবন্দরে নামার পর এক আবেগঘন দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। ফ্লাইট থেকে নেমে অ্যাসাঞ্জ তার স্ত্রীকে চুমু খান, বাবাকে জড়িয়ে ধরেন। তার আইনজীবীরাও সেখানে ছিলেন।
কিছুক্ষণ পর স্ত্রী স্টেলা অ্যাসাঞ্জ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, জুলিয়ানের সেরে উঠতে, স্বাভাবিক অবস্থায় অভ্যস্ত হতে সময়ের প্রয়োজন।
গত ১৪ বছর ধরে মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনি লড়াইয়ে ছিলেন অ্যাসাঞ্জ। কর্মকর্তারা তার ওপর গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ আনেন। তারা বলছেন, এতে বহু জীবন ঝুঁকিতে পড়েছে।
৫২ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ ক্যানবেরায় সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেননি। তার বদলে আইনজীবী ও তার স্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।
স্টেলা অ্যাসাঞ্জ সাংবাদিকদের বলেন, আপনাদের বুঝতে হবে তিনি কীসের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন। আমাদের সময় প্রয়োজন। আমাদের পরিবারকে পরিবার হতে দিন।
যুক্তরাষ্ট্রের আনা তথ্য ফাঁসের অভিযোগ ছাড়াও সুইডেনে অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের পৃথক অভিযোগ তোলা হয়। সে অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি।
সুইডেনে মামলা হওয়ার পর অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডরের লন্ডন দূতাবাসে সাত বছর লুকিয়ে ছিলেন। তার শঙ্কা ছিল, সুইডেন তাকে গ্রেপ্তার করে মার্কিন সরকারের হাতে তুলে দিতে পারে।
পরে অ্যাসাঞ্জ লন্ডন পুলিশের কাছে ধরা দেন। সম্প্রতি তিনি মার্কিন সরকারের সঙ্গে একটি সমঝোতা চুক্তি করেন। চুক্তি অনুযায়ী, তিনি অভিযোগ স্বীকার করে নেবেন। তাকে নতুন করে আর কারাগারে যেতে হবে না। এরপরই তিনি যুক্তরাজ্যের কারাগার থেকে মুক্তি পান।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, জুন ২৬, ২০২৪
আরএইচ