ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল যুক্তরাষ্ট্র। এবার দেশটির আরও ৩৫টি প্রতিষ্ঠান ও জাহাজকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, এসব প্রতিষ্ঠান ও জাহাজ মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে ফাঁকি দিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি জ্বালানি পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। খবর আলজাজিরা
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১ অক্টোবর ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পরমাণু কর্মসূচির সম্প্রসারণের জবাবে দুই মাস আগে যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল, এই নিষেধাজ্ঞাগুলো তার অনুরূপ।
যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইরান জ্বালনি বিক্রির টাকা তার পরমাণু কর্মসূচির উন্নয়নে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন প্রযুক্তির বিস্তার এবং আঞ্চলিক সহযোগীদের পৃষ্ঠপোষকতায় ব্যবহার করছে, যা অঞ্চলটিকে আরও অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি তৈরি করছে। যুক্তরাষ্ট্র এই ছদ্মবেশী বহরের জাহাজ ও পরিচালকদের কার্যক্রম ব্যাহত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায় ইরানের জাতিসংঘ দূত আমির সাঈদ ইরাওয়ানি বলেন, আমাদের সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও নিরাপত্তার জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। যদি ‘জ্বালানি যুদ্ধ’ শুরু হয় তবে বৈশ্বিক উৎপাদনের ১০ শতাংশ বা প্রতিদিন প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল তেলের সরবরাহ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
এমএম