ঢাকা, বুধবার, ৩ পৌষ ১৪৩১, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

তুর্কি সমর্থিত গ্রুপের হামলায় সিরিয়ায় কোণঠাসা কুর্দিরা 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
তুর্কি সমর্থিত গ্রুপের হামলায় সিরিয়ায় কোণঠাসা কুর্দিরা 

আসাদের পতনের পর সিরিয়ায় থাকা কুর্দি গ্রুপ গুলো বিরুদ্ধে তৎপরতা বাড়িয়েছে তুর্কি সমর্থিত গ্রুপ গুলো। এর ফলে বেসামরিক লোকজনও হতাহতের মুখে পড়ছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক যুদ্ধ পর্যবেক্ষক সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচার) জানিয়েছে, তুরস্ক-সমর্থিত সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এসএনএ) -এর গোলাবর্ষণে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মানবিজ শহরের কাছে জারফান গ্রামে ১০ জন নিহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কুর্দি নেতৃত্বাধীন সিরিয়ান ডেমোক্রেটিক ফোর্সেস (এসডিএফ)-এর কাছ থেকে, মানবিজ শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এই হামলা চালায় এসএনএ।

এসওএইচার জানিয়েছে, এই হামলার ফলে মানবিজের বাসিন্দারা ইউফ্রেটিস নদীর পূর্বদিকে পালাতে বাধ্য হয়। খবর আল জাজিরা

এছাড়া, সংস্থাটি জানিয়েছে, মানবিজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তুরস্ক-সমর্থিত বাহিনী নাগরিকদের সম্পত্তিতে হামলা চালিয়েছে এবং তাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে।

এসওএইচার আরও জানিয়েছে, তুরস্ক-সমর্থিত এসএনএ-র গোলাবর্ষণে পূর্ব সিরিয়ার আইন আল-আরব জেলার তারমি গ্রামে দুই শিশুসহ আরও অনেকে নিহত হয়েছে।

এর আগে, এসওএইচার জানিয়েছিল, এসডিএফ-নিয়ন্ত্রিত আল-রাক্কার আইন ইসা অঞ্চলের আল-মুস্তারিহা গ্রামে তুর্কি ড্রোন হামলায় একই পরিবারের ১১ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে ছয়জন শিশুও ছিল।

ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থনে কুর্দি-নেতৃত্বাধীন পিপলস প্রোটেকশন ইউনিটস (ওয়াইপিজি) এবং অন্যান্য গোষ্ঠীগুলোকে সঙ্গে নিয়ে ২০১৪ সালে গঠিত হয় এসডিএফ।

এর আগে ২০১২ সাল থেকে ওয়াইপিজি সিরিয়ার উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বড় অংশ নিয়ন্ত্রণ করছিল।

তুরস্ক ওয়াইপিজি-কে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)-এর সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে মনে করে। পিকেকে তুরস্কে কয়েক দশক ধরে সশস্ত্র বিদ্রোহ চালিয়ে আসছে।

২০১৬ সাল থেকে তুরস্ক কুর্দি গোষ্ঠী এবং ইসলামিক স্টেটকে নিজেদের সীমান্ত থেকে দূরে সরিয়ে দিতে সিরিয়ায় সেনা প্রেরণ করে। পরে স্থানীয় কিছু গোষ্ঠীকে একত্রিত করে সিরিয়ান ন্যাশনাল আর্মি গঠনে সাহায্য করে তুরস্ক। যা তুর্কি সামরিক সহায়তায় সিরিয়ার-তুরস্ক সীমান্ত বরাবর কিছু অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ধারণা করা হচ্ছে এই সব গোষ্ঠীর 'সমন্বিত অভিযানে'র কারণেই আসাদের পতন এত দ্রুত হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০২৪
এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।