সিউল: দক্ষিণ কোরিয়ার গোলন্দাজ বাহিনী খুব শিগগিরই ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। পীত সাগরের সীমান্তবর্তী দ্বীপে এ মহড়া চলবে।
উত্তর কোরিয়ার আর কোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণের পাল্টা জবাবের প্রস্তুতি হিসেবে এ মহড়ার আয়োজন করা হচ্ছে বলে শুক্রবার এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তবে মহড়া শুরু নির্দিষ্ট দিন-তারিখের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানা যায়।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চীফ অব স্টাফের (জিসিএস) এক কর্মকর্তা বলেন, ‘ইয়োনপিয়ংসহ পীত সাগরের পাঁচটি দ্বীপের কাছে আমরা যত দ্রত সম্ভব ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার মহড়া শুরুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। ’
‘এ মহড়াকে সামনে রেখে আমরা উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যত উসকানিমূলক আচরণের দিকে নজর রাখছি এবং মহড়া চলাকালে দেশটির কোনো ধরনের উসকানিমূলক আচরণের তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার জন্য অস্ত্র মোতায়েন করেছি। ’
উত্তেজনাপূর্ণ জলসীমার কাছের দ্বীপ ইয়োনপিয়ং এ উত্তর কোরিয়ার গোলা হামলায় দুইজন বেসামরিক নাগরিক ও দু’জন নৌসেনা নিহত হন। ১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত সংঘটিত কোরীয় যুদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়ার বেসামরিক এলাকায় উত্তর কোরিয়ার এটাই প্রথম কোনো হামলার ঘটনা।
এদিকে পিয়ংইয়ং আবারও হামলার পরিকল্পনা করছে বলে সিউলের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানসহ এক উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সতর্ক করে দেন।
এক্ষেত্রে সীমান্তে দক্ষিণ কোরিয়ার স্থাপিত লাউডস্পিকারে প্রথম আঘাতটি আসতে পারে বলে এক সেনা সূত্রে জানা যায়। পিয়ংইয়ং বিরোধী বার্তা ছড়িয়ে দিতে সিউল এ লাউডস্পিকার ব্যবহার করছে।
একইসঙ্গে পীত সাগরের সীমান্ত এলাকায় দক্ষিণ কোরিয়ার টহল জাহাজ লক্ষ্য করে উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী গোলন্দাজ বাহিনীর পক্ষ থেকে বা দেশটির ভূমি বা জাহাজ থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে। এটাই বর্তমানে সবচেয়ে সম্ভাব্য হামলা বলে ওই সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য, উত্তর কোরিয়ার হামলার শক্তিশালী জবাব দিতে ব্যর্থ হয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া ব্যাপক সমালোচনার সম্মুখীন হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
এদিকে দিনের শুরুতে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সাবেক জিসিএস চেয়ারম্যান কিম কেয়ান-জিন উত্তর কোরিয়ার ভবিষ্যৎ উসকানিমূলক আচরণের তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০