সিউল: উত্তেজনাপূর্ণ কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের জলসীমায় শুরু হতে যাচ্ছে সময়ের সবচেয়ে বড় নৌ মহড়া। শুক্রবার থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-জাপান যৌথভাবে এ মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিরুদ্ধে উত্তর কোরিয়ার ভয়াবহ গোলা হামলার জবাবে শক্তি প্রদর্শনের উদ্দেশ্যে এ মহড়ার আয়োজন করা হয়।
জাপানের দক্ষিণাংশের জলসীমায় ৬০টি রণতরী, ৫০০ বিমান এবং ৪৪ হাজার সেনা সদস্য নিয়ে আটদিনব্যাপী ‘ধারালো তলোয়ার’ নামের এ মহড়া শুরু হতে যাচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ইয়োনপিয়ং দ্বীপে ২৩ নভেম্বর উত্তর কোরিয়ার গোলা হামলায় দু’জন বেসামরিক নাগরিক ও দু’জন নৌসেনা নিহত, ১৮ জন আহত হন। একইসঙ্গে ৩০টি বাড়িও বিধ্বস্ত হয়। ১৯৫০-৫৩ পর্যন্ত সংঘটিত কোরীয় যুদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়ার বেসামরিক এলাকায় উত্তর কোরিয়ার এটাই প্রথম কোনো হামলার ঘটনা।
কিন্তু এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান শর্তেও ঘনিষ্ঠ মিত্র উত্তর কোরিয়াকে নিন্দা জানানো থেকে বিরত থাকে চীন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনার জন্য পশ্চিমা বিশ্বের কাছে আবেদন জানায় দেশটি।
কিন্তু এ আবেদন নাকচ করে ওয়াশিংটন, টোকিও এবং সিউল। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি কিনটনের নেতৃত্বে সোমবার ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে বসতে যাচ্ছে দেশ তিনটি।
এ বিষয়ে চীনের পরারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াঙ্গ ইয়ু বলেন, ‘এ বৈঠকের দিকে আমরা গভীর মনোযোগ রাখবো। ’
‘কোরীয় দ্বীপপুঞ্জের পরিস্থিতি বর্তমানে ভয়াবহ জটিল ও স্পর্শকাতর। তাই এ বৈঠকের মধ্য দিয়ে উত্তেজনা কমে আসাসহ আলোচনার পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমরা আশা করছি। ’
এদিকে সংঘাত এড়াতে একত্রে কাজ করার বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করেছেন বলে হিলারি কিনটন জানান।
তিনি বলেন, ‘এ অঞ্চল জুড়ে বিশেষত দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানের উপর তাৎক্ষণিক হুমকির পরিবেশ তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়া। একইসঙ্গে দেশটি এর পরমাণু কর্মসূচি ও বিশ্বের বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে অস্ত্র আমদানি করার মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বকে হুমকির মুখোমুখি করেছে। চীনের এ বিষয়গুলো বিবেচনা করা উচিত। ’
উল্লেখ্য, চলতি বছর জাপানের সঙ্গে চীনের জলসীমা বিষয়ক বিরোধের পরিপ্রেক্ষিতেই দীর্ঘ মেয়াদী এ মহড়ার আয়োজন করা হয়। একইসঙ্গে এ জলসীমা উত্তরাধিকারসূত্রে চীনের মালিকানাধীন বলে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে দেশটি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০