সিউল: পানির নিচে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু স্থাপনা থাকার কথা নাকচ করে দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। তাদের মতে, উত্তর কোরিয়ার এধরনের অগ্রসরমূলক প্রযুক্তি সুবিধার বিষয়টি ‘বিশ্বাস করা কঠিন’।
উইকিলিকস নামের ওয়েবসাইটে ফাঁসকৃত মার্কিন গোপন নথির ভিত্তিতে এ তথ্য জানানো হলে শুক্রবার দক্ষিণ কোরিয়া ওই বিবৃতি দেয়।
উইকিলিকসের ফাঁস করা মার্কিন গোপন নথিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বরে পিয়ংইয়ং এর পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে ছয় জাতি আলোচনায় বলা হয়, ‘উত্তর কোরিয়ার উপকূলবর্তী পানির নিচে দেশটির গোপন পরমাণু সুবিধা আছে। ’ সাংহাইয়ের এক বিশেষজ্ঞ ওই তথ্য জানিয়েছিল।
তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি।
এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দক্ষিণ কোরিয়ার পরারষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা উত্তর কোরিয়ার রাজধানী পিয়ংইয়ং এর উত্তরের প্রধান পরমাণূ কমপ্লেক্সের উল্লেখ করে বলেন, ‘ইয়ঙ্গবায়ুনের পরমাণু সুবিধাদির মাত্রা বিবেচনায় এটা বিশ্বাস করা কঠিন। ’
পানির নিচের পরমাণু সুবিধাদির জন্য ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ প্রযুক্তির তুলনায় আরও অনেক অগ্রসর প্রযুক্তির প্রয়োজন হয়।
উত্তর কোরিয়া দশক ধরে পরমাণু অস্ত্র তৈরি করে আসছে। এরইমধ্যে দুটি পরমাণু পরীক্ষাও চালিয়েছে দেশটি।
এদিকে দেশটির ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্বেগ ক্রমেই বেড়ে চলেছে। কিন্তু বর্তমানে বিদ্যমান কর্মসূচিতে প্লুটোনিয়াম ব্যবহারের মধ্য দিয়ে অস্ত্র তৈরির দ্বিতীয় পর্যায়ে পৌঁছে গেছে দেশটি ।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০