লস অ্যাঞ্জেলেস: নিউট্রন বোমার আবিষ্কারক স্যামুয়েল টি কোহেন মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিলো ৮৯ বছর।
স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পর তিনি এ ধরনের বোমা তৈরি করেন। এ বোমার বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ভবন বা কঠিন বস্তু ধ্বংস না করে এতে মানুষ হত্যা করা যায়। এ পর্যন্ত আবিষ্কৃত সব বোমার মধ্যে এটাকেই সবচেয়ে যৌক্তিক ও নৈতিক অস্ত্র বলা হয় ।
মৃত্যুর কয়েকদিন আগে কোহেন নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকাকে বলেন, ‘ইতিহাসে এটাই একমাত্র পরমাণু বোমা যা যুদ্ধবাধার ক্ষেত্রে বিচারবুদ্ধি কাজে লাগায়। যুদ্ধ শেষ হওয়ার পরও পৃথিবী অক্ষত থাকে। ’
প্রথাগত তাপপরমাণু অস্ত্রের ব্যবহারে শহর ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। তবে নিউট্রন বোমা ছোট ছোট পার্টিকেল নিক্ষেপ করে যা দেয়াল, সামরিক যান ও অন্যান্য শক্ত বস্তু ভেদ কেবল জীবিত কোষই ধ্বংস করে। যুদ্ধের ময়দানে কেবল যোদ্ধারা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
সমালোচকরা এ বোমা সম্পর্কে জানান, পরমাণু বোমার তুলনায় এর বিস্ফোরণ ক্ষমতা কম। এর ফলে পরমাণু যুদ্ধের গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। বিপর্যয়কর বৈশ্বিক সংঘর্ষেরও আশঙ্কা করছেন তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এএফ কেনেডি, লিন্ডন জনসন, জিমি কার্টার সবাই এ বোমার বিরোধিতা করেন। তবে কেবল রোনাল্ড রিগ্যান ইউরোপে আক্রমণ ঠেকাতে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে ব্যবহারের জন্য এ বোমার সমর্থন করেন।
লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস ও নিউইয়র্ক টাইমস জানায়, গত রোববার কোহেন তার লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে মারা যান।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০