নিউইয়র্ক: ছাত্রদের অনেকেই কৌতুক করে বলে তাদের এক শিক্ষকের পেছন দিকেও চোখ রয়েছে।
নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকলার টিশ স্কুলের একজন প্রফেসরের সত্যিই প্রায় এরকম অবস্থা।
ওয়াফা বিলাল নামে ইরাকি বংশোদ্ভূত ওই প্রফেসর গত মাসে একটি পিয়ার্সিং স্টুডিওতে (ত্বক ফুটো করা হয় এমন স্থান) তিনি এ ক্যামেরা স্থাপন করেন। এ নিয়ে কাতারের রাজধানী দোহায় একটি প্রকল্পে তিনি অংশ নেন।
ওয়াফা বিলাল বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এর মাধ্যমে অনুক্ত বা অদেখা অবস্থা আমাদের সামনে উপস্থিত হবে। ’
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটির নাম হচ্ছে দি থার্ড আই এবং এর মাধ্যমে পশ্চাৎ ক্যামেরার সাহায্যে প্রতি মিনিটে একটি করে ফটোগ্রাফ ধারণ করা সম্ভব হবে। এক বছর জুড়ে বিলালের কার্যক্রমের ছবি নিতে সক্ষম এ ক্যামেরা।
মাথার পেছনে টাইটেনিয়াম ধাতুর তৈরি প্লেটেও ওপর বৃদ্ধাঙ্গুলি আকৃতির এ ক্যামেরাটি স্থাপন করা হয়েছে।
ক্যামেরা থেকে একটি কেবল (তার) কাঁধে বহনকারী ব্যাগের মধ্যে থাকা কম্পিউটারে যুক্ত হয়েছে।
বিলাল বলেন, ‘ক্যামেরায় ছবি উঠছে আমি এ কথা ভুলে যেতে চাই। একইসময়ে দৈনন্দিন সাধারণ বিষয়েও ছবি নিতে রাখতে আমি। ’ এতে গোপনীয়তার প্রসঙ্গটা এসেছে। বিশেষ করে, শ্রেণীকক্ষে ক্যামেরাটার ব্যবহার নিয়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র জন বেকম্যান, ‘শিল্পী হিসেবে তার সৃষ্টিশীল কাজের আমরা প্রশংসা করছি। তবে শিল্পকলার স্কুল হওয়ার কারণে এখানে গোপনীয়তার প্রশ্নটা অত্যন্ত জরুরি।
বিলাল বলছেন তিনি তার শিল্পকর্ম আরও বিস্তৃত ধারণা ও বাস্তবতা নিয়ে নিরীক্ষা করতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘সমাজের অবহেলিত পরিস্থিতির প্রতিফলন আমি নিজের মধ্যেই দেখি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৩, ২০১০