ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

লিউকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিরতণ অনুষ্ঠান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১০
লিউকে ছাড়াই অনুষ্ঠিত হচ্ছে নোবেল শান্তি পুরস্কার বিরতণ অনুষ্ঠান

অসলো: নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এ বছর শান্তিতে নোবেল জয়ী কারারুদ্ধ লিউ জিয়াওবোকে অভিনন্দন জানাতে খালি চেয়ার রাখা হবে। চীনে কারাবন্দী এ ভিন্নমতাবলম্বীকে শুক্রবার আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে এভাবেই স্মরণ করবেন বিভিন্ন দেশের রাষ্টদূত, উচ্চ পদস্থ ব্যক্তিসহ নরওয়েজিয়ান রাজকীয় ব্যক্তিবর্গ।



অনুষ্ঠানের আগে এক সংবাদ সম্মেলনে নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান থোর্বজোর্য়েন জ্যাগল্যান্ড বলেন, ‘চীনের কারাবন্দী ভিন্নমতাবলম্বীর জন্য খালি চেয়ার খুবই শক্তিশালী একটি প্রতীক। কেননা পুরস্কারটি তার জন্য কতটা সঠিক ছিলো এটা তাই তুলে ধরে। ’

শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা একটায় অসলোর সিটি হলে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে।

নোবেল ইতিহাসের শত বছরেরও বেশি সময় পর এবার মাত্র দ্বিতীয়বারের মত পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তি বা তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিনিধির অনুপস্থিতিই ওই অনুষ্ঠান হতে যাচ্ছে।

এর আগে ১৯৩৬ সালে জার্মান সাংবাদিক ও শান্তিবাদী কার্ল ভন ওসিইজস্কি নাৎসিদের কনসনট্রেশন ক্যাম্পে বন্দী থাকার কারণে অসলোতে উপস্থি হতে পারেননি। লিউর মত ওসিইজস্কি তার দেশের শাসন ব্যবস্থার বিরোধী ছিলেন।

১৯৮৯ সালের তিয়ানমেন স্কয়ারে প্রতিবাদের কেন্দ্রে থেকে নেতৃত্ব দেন লেখক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক লিউ।

২০০৯ সালে নাশকতার অভিযোগে লিউকে ১১ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়। মূলত চার্টার ০৮ নামের ইশতেহারের সহলেখক হিসেবে সারা দেশে গণতান্ত্রিক সংস্কারের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগই ছিলো তাকে গ্রেপ্তারের মূল কারণ।

তার শাস্তির বিষয়ে জানার পর লিউ বলেছিলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি দীর্ঘদিন থেকে অবগত যে যখনই স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে কেউ স্বাধীনতার কথা বলে তখনই সে স্বাধীনতার পথে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়াসহ কারাগারের দিকেও এক ধাপ এগিয়ে যায়। এখন আমিও এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি এবং এর মধ্য দিয়ে সত্যিকার স্বাধীনতা আরও কাছে চলে এলো। ’

অক্টোবরে এ পুরস্কার ঘোষিত হওয়ার পর তা ক্ষুব্দ করে চীনের শাসককে। তারা লিউকে ‘অপরাধী’ বলাসহ তার স্ত্রীকে গৃহবন্দী করে রাখেন। একইসঙ্গে নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠান বর্জনে প্রচারণা চালানোসহ এ কমিটিকে ‘ভাঁড়’ বলেও সম্বোধন করে দেশটি।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের একদিন আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জিয়াঙ্গ ইয়ু বেইজিং থেকে বলেন, ‘চীনের নাগরিক ও রাষ্ট্র এ ঘটনার বিরোধীতা করছে। ’

এ পর্যন্ত ৪৫ দেশের দূতাবাস অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করেছে বলে বৃহস্পতিবার নোবেল প্রতিষ্ঠানের পরিচালক গেইর লুনডেসটেড জানান। তবে একইসঙ্গে চীন, রাশিয়া, সৌদি আরব এবং ইরানসহ আরও ১৯টি দেশ এ অনুষ্ঠান বর্জন করে।  

এদিকে অনুষ্ঠান বর্জনের জন্য সার্বিয়া ও ইউক্রেন চাপের মধ্যে আছে এবং ফিলিপাইন এখনও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে বলেও জানা যায়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।