ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশ উৎসব’ শুরু

রক্তিম দাশ, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১০
কলকাতায় বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান ‘বাংলাদেশ উৎসব’ শুরু

কলকাতা: প্রতি বছরের মতো এবারও মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কলকাতায় উপদূতাবাস প্রাঙ্গণে ৫ দিনব্যাপী বাংলাদেশ উৎসবের সূচনা হল।

লাল, সবুজের ফিতা কেটে একত্রে বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় এই উৎসবের উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনি প্রতিমন্ত্রী  ইমানুল হক, পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলি ও উপরাষ্ট্রদূত মুহম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান।

এরপর কবুতর উড়িয়ে শান্তির আহ্বান জানান অতিথিরা।

বাংলাদেশর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনি প্রতিমন্ত্রী ইমানুল হক এদিন তার ভাষণে বলেন, ‘উনচল্লিশ বছর পার করে আজকের বিজয় দিবসে যারা সেদিন আমাদের হয়ে যুদ্ধ করেছিলেন তাদের আজ কৃতজ্ঞ চিত্তে স্মরণ করছি। তখন আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে দেশ থেকে তাড়াতে হবে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা এই যুদ্ধ করেছি বলে গর্বিত। ’

এদিন তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকার ও ভারত সরকারের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। দুই দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য ও আর্থিক সামাজিকস্তরে উন্নতির জন্য আমাদের আরও এগিয়ে আসতে হবে।

সাহিত্যিক সুনীল গাঙ্গুলি বলেন, এখন আমাদের যুদ্ধ করতে হবে দারিদ্রের বিরুদ্ধে, কুসংস্কারেরর বিরুদ্ধে, কুরুচির বিরুদ্ধে। তবেই এই বিজয় দিবসের উৎসব সার্থক হবে।

পররাষ্ট্র সচিব মিজারুল কায়েস, নয় মাস যুদ্ধের পর ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় পেলাম। এখন আমাদের লড়াই শান্তির জন্য। আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র ভারত মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে কাঁধে, কাঁধে মিলিয়ে আত্মত্যাগ করেছে। আজ তাদের স্মরণ করতে চাই। এই ভবনটি যেখানে আজ উৎসব হচ্ছে সেটি আমাদের দেশ ও জনগণের কাছে ঐতিহাসিক। বাংলাদেশের ভূখ-ের বাইরে এখানেই প্রথম স্বাধীন বাংলার লাল, সবুজের পতাকা ওঠে।

বাংলা ভাষার বিশ্ব পরিচিতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভূমিকাকে স্মরণ করে বিমান বসু বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ে না ওঠলে আর্ন্তজাতিক ভাষা দিবস আমরা পেতাম না।

এদিনের অনুষ্ঠানের শেষে সবাইকে কৃতজ্ঞতা জানান উপরাষ্ট্রদূত মুহম্মদ মোস্তফিজুর রহমান। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ডা, মানস ভুইয়া, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য করুনাসিন্ধু দাস, কলকাতার বাংলা দৈনিক সংবাদপত্রের সম্পাদক মানস ঘোষ, দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক আবেদ খান প্রমুখ।

উল্লেখ্য, এবার বাংলাদেশ থেকে আসা ৩০টি স্টলে বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী, ঢাকার ভুনা খিচুড়ি আর কাচ্চি বিরিয়ানিসহ নানা খাবার, জামদানি, বই, অবশ্যই ইলিশ মাছ এই উৎসবের মুখ্য আর্কষণ। সঙ্গে রয়েছে প্রতিদিন উৎসব মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

স্বাধীনতার উনচল্লিশতম বর্ষ ও কবিগুরুর জন্মের দেড়শো বছর উপলক্ষে উৎসব মঞ্চে থাকছে কুষ্টিয়ার লালন একাডেমীর শিল্পীদের গান। বাংলাদেশ থেকে আসছেন, সুবীর নন্দী, অদিতি মহসিন, শ্যামা রহমান, শাহীন সামাদ এর মতো প্রথিতযশা শিল্পীরা। থাকছেন এপারের শিল্পীরাও। কলকাতা ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষারত বাংলাদেশি ছাত্র-ছাত্রীরা ও বাংলার নিজস্ব নৃত্য শৈলী গৌড়ীয় নৃত্যের অনুষ্ঠান করবেন গবেষক ড. মহুয়া মুখোপাধ্যায়। উৎসব চলবে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

ভারতীয় সময়: ১১২১ ঘন্টা, ১৭ ডিসেম্বর, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।