ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মার্কিন মামলার বিষয়ে শঙ্কিত উইকিলিকস প্রধান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০
মার্কিন মামলার বিষয়ে শঙ্কিত উইকিলিকস প্রধান

বুঙ্গে: জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের সম্ভবনা ক্রমেই বাড়ছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন উইকিলিকসের সম্পাদক। মার্কিন গোপন নথি ফাঁসের দায়ে যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে বলে শুক্রবার তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।



জামিনের প্রথম দিন ইলিংহাম হলের বাইরে অ্যাসাঞ্জে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আমাকে হস্তান্তরের আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। আমরা সব সময়ই এ ঝুঁকির আশঙ্কা করছিলাম এবং ক্রমেই তা গুরুতর হচ্ছে এবং বাস্তবায়নের সম্ভবনাও ক্রমেই বাড়ছে। ’

সুইডেনের হাতে তাকে হস্তান্তরের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে লড়াই করছেন সাড়া জাগানো ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা। মূলত সুইডেনের দুই নারীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যই অ্যাসাঞ্জকে হস্তান্তরের দাবি করে সুইডেন। তবে বরাবরই এ অভিযোগ নাকচ করে আসছেন অ্যাসাঞ্জ।

এদিকে হাজার হাজার মার্কিন গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগে এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে গোপন মার্কিন সর্বোচ্চ জুরি তদন্ত শুরু করেছে বলে অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীর ধারণা। গোপন নথি ফাঁস অবৈধ অভিযোগে এ তদন্ত শুরু হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

তবে ব্রাডলি ম্যানিঙ্গ নামের এক মার্কিন সেনাকে সরকারের কম্পিউটার থেকে গোপন তারবার্তা চুরি করে উইকিলিকসের কাছে হস্তান্তরে উৎসাহ দেওয়ার অভিযোগে মার্কিন বিচারকরা মামলা দায়ের করার চেষ্টা করছেন বলে গণমাধ্যম জানায়।

অ্যাসাঞে বলেন, ‘এটা খুবই আগ্রাসী একটি তদন্ত হতে যাচ্ছে বলে আমি শুনেছি। এর মধ্য দিয়ে কিছু মানুষের কারণ অনেকে দৃষ্টি বাইরে চলে যাবেন এবং বিখ্যাত মামলায় কাজ করার জন্য কিছু লোককে তোষামোদ করা হবে। ’

একইসঙ্গে ম্যানিয়েঙ্গের বৈধ তহবিলে ৫০ হাজার ডলার জামানত রাখার কথাও জানান তিনি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবিসি টেলিভিশনকে অ্যাসাঞ্জে বলেন, ‘গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার আগে ব্রাডলি ম্যানিঙ্গের নামই আমি কখনো শুনিনি। ’

‘প্রথম থেকেই উইকিলিকসের নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যাতে মার্কিন তথ্য জমা দেওয়া ব্যক্তিদের নাম পরিচয় জানা সম্ভব নয়। ’

এদিকে ম্যানিঙ্গকে ভার্জিনিয়ার কিউয়ানটিকো নৌঘাঁটিতে কঠোর পরিস্থিতিতে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এ অভিযোগের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষামূলক বক্তব্যে কারাগার মুখপাত্র প্রথম লেফটেন্যান্ট ব্রায়ান ভিলিয়ার্ড বলেন, ‘ম্যানিঙ্গ বর্তমানে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকী। তাই তাকে বিচ্ছিন্নভাবে রাখা হয়েছে। তবে অন্য কারাবন্দীর তুলনায় তাকে আলাদাভাবে দেখা হচ্ছেনা এ বিষয়ে আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিতে পারি। ’

তবে ব্রিটিশ গণমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অ্যাসাঞ্জে বলেন, ‘ম্যানিঙ্গই আমাদের একমাত্র সেনাসূত্র যাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং এর অর্থ তিনি এখন জটিল পরিস্থিতিতে আছেন। ’

এদিকে গোয়েন্দা আইনসহ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য আইনে অ্যাসাঞ্জের বিচার হতে পারে তবে এ ধরনের মামলায় কোনো প্রকাশকের বিচার করার মত প্রচলিত কোনো আইন নেই। ওয়াশিংটনে কংগ্রেসের প্রকাশিত এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৩৩০ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।