ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

অতীত সংরক্ষণে দক্ষিণ সুদানের তোড়জোড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১১
অতীত সংরক্ষণে দক্ষিণ সুদানের তোড়জোড়

যুবা: গণভোটের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশের আগেই জাতি গঠনের প্রাথমিক কাজ শুরু করে দিয়েছে দণি সুদান। এ লক্ষ্যে তারা জাতীয় পতাকা, জাতীয় সংগীত ঠিকও করে ফেলেছে।

রাজধানী ঠিক না হলেও যুবাকে ঘিরেই কাজ কর্ম শুরু হয়েছে। সেই প্রক্রিয়ারই অংশ হিসেবে এবার তারা হারিয়ে যাওয়া দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণের কাজে হাতে দিয়েছে।        

‘দলিল দস্তাবেজ সংরক্ষণ একটি বড় কাজ। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হলেও  শুরু করতে দেরি হয়ে গেছে। আগেই এর কাজ শুরু করা উচিৎ ছিল। ’ বলছিলেন মহাফেজখানার প্রধান ইউসেফ ফালগেনসিও অনিয়ালা।

ইউসেফ বলেন, বাইশ বছরের গৃহযুদ্ধে খ্রিস্টান অধুষ্যিত দক্ষিণ সুদানের ব্যাপক প্রাণহানীসহ সবকিছুই তছনছ হয়ে গেছে। তাই তাদের এখন সবকিছুই নতুন করে শুরু করতে হচ্ছে। দক্ষিণ সুদানের জাতিগত অনেক দলিলই দেশের বাইরে চলে গেছে। বৃষ্টি, বন্যায় ভিজে গেছে। যেগুলো পাওয়া গেছে সেগুলোর অধিকাংশই এলোমেলো, ছেড়া, অস্পষ্ট। সত্যি বলতে কি সেগুলো এখন রোদে শুকাতে হবে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ হবে এগুলো বাছাই করা এবং সুবিন্যস্তভাবে তালিকা করা। পরে এগুলো ডিজিটালাইজ করা হবে। স্থায়ী তাবু নির্মাণ করে এর আগে ২০০৭ সালেও এসব দলিল দস্তাবেজ  সংরক্ষণের কাজ একবার শুরু হয়েছিল।                

বিশেষজ্ঞদের মতে, উনিশ শতকের আগের এবং ১৯৮০ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ সুদানের জাতিগত বিশ হাজারেরও বেশি দলিল এই সংরক্ষণের আওতাভূক্ত  হবে। দক্ষিণ সুদানের একজন শিক্ষাবিদ জক মাডাট জক বলছিলেন, এসব দলিল দস্তাবেজের সংরক্ষণ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে জাতি হিসেবে আমাদেরকে গৌরাবান্বিত করবে।          

গত ৯-১৫ জানুয়ারি স্বাধীনতার লক্ষ্যে মুসলিম অধ্যুষিত উত্তর সুদান খ্রিস্টান অধ্যুষিত দক্ষিণ সুদানের মধ্যে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। গত সপ্তাহে প্রকাশিত ফলাফলে দেখা গেছে ৯৯ ভাগ দক্ষিণ সুদানি স্বাধীনতার পক্ষে রায় দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।