ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ব্রাজিলে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১০ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৪
ব্রাজিলে পরিবহন ধর্মঘট অব্যাহত

ঢাকা: বিশ্বকাপ ফুটবল আসর শুরুর মাত্র তিনদিন বাকি থাকলেও ব্রাজিলের সাও পাওলো মেট্রো পরিবহনে ধর্মঘট এখনো অব্যাহত আছে।

সাও পাওলোর একটি আদালত কাজে ফিরে যাওয়ার আদেশ দেওয়ার পরও ধর্মঘটী শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাজে ফিরে না যাওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছে।



এ অবস্থায় ব্রাজিলের সবচেয়ে বড় এই শহরের অধিকাংশ স্টেশন বন্ধ থাকায় সোমবার ভয়ানক যানজটের সৃষ্টি হয়। মেট্রো ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের এই ধর্মঘট গত ছয় দিন ধরে চলছে।

এ শহরেই আগামী ১২ জুন সাও পাওলো স্টেডিয়ামেই ক্রোয়েশিয়ার সঙ্গে স্বাগতিকদের খেলার মধ্য দিয়ে শুরু হচ্ছে বিশ্বকাপ। যা শেষ হওয়ার কথা রয়েছে এর পরের মাসের একই তারিখের রিও দে জেনেরো স্টেডিয়ামে।

সাও পাওলোর গভর্নর গেরেল্ডো আলেকমিন শক্তভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, আদালতের নিষেদ অমান্য করে শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছে। যারা কাজে যোগ দিবে না, তাদের চাকরিচ্যুত করা হবে।

তার আগেই সাও পাওলোর একটি আদালত শ্রমিকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়ে বলে, শ্রমিক ইউনিয়ন তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং নিয়ম ভঙ্গ করে ধর্মঘট চালাচ্ছে।

যদিও সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসা দুটি শ্রমিক ইউনিয়নই জানিয়ে দিয়েছে, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ধর্মঘট অব্যাহত রাখবেন।

মেট্রো ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সভাপতি আলতিনো প্রেসেরেজ বলেন, আমাদের লক্ষ্য বিশ্বকাপের সময় ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়া নয়। আমাদের লক্ষ্য সমস্যার সমাধান করা। কিন্তু সরকারের লক্ষ্যও সেটা হওয়া উচিত।

রাষ্ট্রয়াত্ত মেট্রো কোম্পানির শ্রমিকরা তাদের বেতন-ভাতা অন্তত ১২ দশমিক ২ ভাগ বাড়ানো দাবিতে এ ধর্মঘটন শুরু করেন। তারপর সরকার তাদের সঙ্গে সমঝোতামূলক আলোচনার বসে বেতন-ভাতা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। কিন্তু শ্রমিকরা ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণাতে অনড় থাকে।

বিশ্বকাপের খরচের বহর নিয়েই মূলত বিক্ষোভের সূচনা, যার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক প্রাক্তণ বিশ্বখ্যাত ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারও। তাদের দাবি, বিপুল খরচের বিশ্বকাপের পাশাপাশি ব্রাজিলের দরিদ্র মানুষের কথাও ভাবতে হবে সরকারকে।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও আর পরিবহন ধর্মঘট নিয়ে সরকার বেশ চাপে থাকলেও ব্রাজিলের রাষ্ট্রপতি দিলমা রোউসেফ ইতোমধ্যেই বলেছেন, তার দেশ বিশ্বকাপের জন্য পুরো প্রস্তুত। কাউকে বিশ্বকাপ খেলায় ব্যাঘাত তৈরি করতে দেওয়া হবে না।

ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটারও বলেছেন, বিশ্বকাপ শুরু হলে এসব সমস্যা থাকবে না। আমি আশাবাদী, খেলা শুরু হলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

তবে এই বিক্ষোভ চলতি বিশ্বকাপ নিয়ে ব্রাজিল কর্তৃপক্ষকে ভাবালেও, তাদের ভাবনার আরো জায়গা দখল করে আছে ২০১৬ সালে রিও দে জেনেরোর অলিম্পিক।

বাংলাদেশ সময়: ১০০০ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।