ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ঘুষ প্রদান বিশ্বাসযোগ্য

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ৪, ২০১৪
গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইনের ঘুষ প্রদান বিশ্বাসযোগ্য ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: ফার্মাসিউটিক্যালস জায়ান্ট গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) চীনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চিকিৎসক ও হাসপাতালে একের পর এক ঘুষ ও উপঢৌকন দেওয়ার অভিযোগ ‘বিশ্বাসযোগ্য’ বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষে তদন্তকারী পিটার হামফ্রে মত দিয়েছেন।  

এছাড়াও প্রতিবেদন শেষ হওয়ার পর গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) বিরুদ্ধে আরো অনেক অভিযোগ তিনি জানতে পেরেছিলেন বলে জানিয়েছেন।



এ কারণে পিটার হামফ্রে তার সহকর্মীদের বলেন, যারা অভিযোগ দিয়েছিলেন, তারা আসলে সত্যিই বলেছিলেন। খবর বিবিসির।

অপরদিকে, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) জানায়, ব্যবসায় দুর্নীতি সহ্য করা হবে না।

এ বিষয়ে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) এক বিবৃতিতে জানায়, অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে তাদের নজরদারির ব্যবস্থা আছে এবং যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, যে অভিযোগগুলো ধরা পড়েছে, সে বিষয়ে কোম্পানি সচেতন। এ ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে কোম্পানি।  

এদিকে, ২০১৩ সালের জানুয়ারি মাসে চীনে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তির ইমেইল থেকে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) বিরুদ্ধে চীনের চিকিৎসকদের একের পর ঘুষ দেওয়ার প্রথম অভিযোগ পাওয়া যায় ।

ইমেইলে বলা হয়, অন্য ওষুধ কোম্পানির বদলে যাতে করে চিকিৎসকরা গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) ওষুধ ব্যবস্থাপত্রে লেখেন, সে জন্য খ্যাতনামা চিকিৎসক ও হাসপাতালে দামি দামি উপহার ও নগদ অর্থ দিয়ে আসছিলেন বিক্রয় প্রতিনিধিরা।
 
ইমেইলে আরো অভিযোগ করা হয়, অনেক চিকিৎসককে ব্যয়বহুল ভ্রমণে পাঠানো হয়েছিল। আর ট্রাভেল এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের সম্মানী দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) ঘুষ-দুর্নীতির ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে চীনের পুলিশ এবং কোম্পানিটির চার জ্যৈষ্ঠ নির্বাহীকে আটকও করা হয়েছে।

এ ছাড়া চীনের গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) সাবেক প্রধান মার্ক রেইলিকেও আটক করে পুলিশ।

যেভাবে মামলা দায়ের: 
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন প্রধান বরাবর চীনের গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) সাবেক প্রধান মার্ক রেইলির বিরুদ্ধে সেক্স টেপ, ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ করে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি ইমেইল পাঠান।

এরপর এ বছরের এপ্রিল মাসে কোম্পানি এ বিষয়ে তদন্তের জন্য হামফ্রেকে দায়িত্ব দেয়। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে জুলাই মাসে চীনের পুলিশ গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের (জিএসকে) চার কর্মকর্তাকে আটক করে।

এরপর এ বছরের মে মাসে চীন সরকার গ্লাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে), চীনের সাবেক প্রধান রেইলিসহ কয়েক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ ও উপঢৌকন দেওয়ার অভিযোগে মামলা করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।