ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ফসিল ফুয়েল বন্ধে জাতিসংঘের ডেডলাইন ২১০০ সাল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২১০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৪
ফসিল ফুয়েল বন্ধে জাতিসংঘের ডেডলাইন ২১০০ সাল

ঢাকা: ২১০০ সালের মধ্যে ফসিল ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানির অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ না হলে সমগ্র বিশ্ব ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতিসংঘের একটি  উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞ প্যানেল।

জলবায়ুজনিত ওই বিপর্যয় মোকাবেলায় ২০৫০ সালের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ অথবা তা সম্ভব না হলে এর ব্যবহার সর্বনিম্ন করার বিষয়েও সুপারিশ করেছে ‘ইন্টারগভর্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ’ (আইপিসিসি) নামের জাতিসংঘের ওই বিশেষজ্ঞ কমিটি।

 

এর অন্যথা হলে পুরো বিশ্বকেই ‘বিস্তৃত, মারাত্মক ও অপূরণীয়’ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।

এ ব্যাপারে রাষ্ট্রগুলোকে এখনই পদক্ষেপ নেয়ার ব্যাপারে তাগাদা দিয়ে জাতিসংঘ বলেছে, এখনই কোনো পদক্ষেপ না নিলে চড়া মূল্য দিতে হবে পুরো বিশ্বকেই।

জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, বিজ্ঞান কথা বলা  ‍শুরু করেছে। এই গবেষণা প্রতিবেদনের ভিন্ন কোনো অর্থ নেই। রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে। সময় আমাদের সঙ্গে নেই।

রোববার ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে প্রকাশ হয় আইপিসিসির সিনথেসিস রিপোর্ট। ‍

এর আগে এ প্রতিবেদনের নানা দিক নিয়ে বিভিন্ন দেশের সরকারি কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে সপ্তাহব্যাপী বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিবেদনের গুরুত্ব বোঝাতে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বলেন, এ কথা প্রচলিত যে জলবায়ু পরিবর্তন প্রতিরোধে নেয়া পদক্ষেপের খরচ অনেক বেশি। তবে এ ব্যাপারে কাজ না হলে মূল্য দিতে হবে তার থেকে অনেক বেশি।

তিনি বলেন, জ্বর হলে যেভাবে আপনারা আপনাদের শিশুর তাপমাত্রা কমান, বিশ্বের তাপমাত্রা আমাদের সেভাবেই কমাতে হবে।

এদিকে প্রতিবেদনকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেন, যারা বিজ্ঞানকে অবজ্ঞা ও এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করতে চায় এই রিপোর্টে এটা পরিস্কার যে তারা আমাদের শিশুদের এবং পরবর্তী প্রজন্মের জীবনকে বিপন্ন করতে চায়।

রিপোর্টে সারাবিশ্বের বর্তমানে বিদ্যুৎ উৎপাদনে পুনঃনবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০৫০ সালের মধ্যে ৮০ শতাংশে উন্নীত করার সুপারিশ করা হয়।

গত ১৩ মাস ধরে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণ, প্রভাব এবং সম্ভাব্য সমাধানের উপায় সংক্রান্ত তিনটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে আইপিসিসি। রোববারের প্রতিবেদনটি হলো ওই তিনটি প্রতিবেদনের সমন্বয়।

আশা করা হচ্ছে, এই প্রতিবেদন জলবায়ু পরিবর্তন প্রশ্নে ২০১৫ সালের মধ্যে একটি নতুন আন্তর্জাতিক চুক্তির পথ প্রশস্ত করবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ০২, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।