ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মাগুইনদানাও গণহত্যা

ফিলিপাইনে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪
ফিলিপাইনে বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে নৃশংস রাজনৈতিক সহিংসতার ৫ম বার্ষিকী স্মরণ করছে ফিলিপাইনের জনগণ। ২০০৯ সালের এই দিনে দেশটিতে রাজনৈতিক গণহত্যার শিকার হন সাংবাদিক, আইনজীবী সহ ৫৮ জন।



ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলীয় মাগুইনদানাও প্রদেশে সংঘটিত গণহত্যার চার বছর পেরিয়ে গেলে এখনও শেষ হয়নি এর বিচার। শেষ পর্যন্ত অদৌ বিচার হবে কি না তা নিয়েও সংশয়ে দেশটির অধিকাংশ মানুষ। কারণ অভিযুক্তরা মাগুইনদানাও প্রদেশের অন্যতম প্রভাবশালী আমপাতুয়ান গোত্রের সদস্য। গণহত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বর্তমানে ওই গোত্রের ১শ‘ জনেরও বেশি অভিযুক্তের বিচার চলছে।

এদিকে বিচার প্রক্রিয়ার গড়িমসি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এ ব্যাপারে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ফিলিপাইন ভিত্তিক গবেষক হ্যাজেল গালাঙ্গ ফোলি বলেন, ‘বিচার দেরি হওয়া মানে বিচার না হওয়া। ’

তিনি বলেন, ‘মাগুইনদানাও গণহত্যার ৪ বছর পেরিয়ে গেছে, কিন্তু মামলা এখনও ঝুলছে ফিলিপাইনের আদালতে। পাশাপাশি এ ঘটনায় একজন অভিযুক্তকেও এখনও দায়ী করা যায়নি।
 
প্রদেশের গভর্নর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ২০০৯ সালের ২৩ নভেম্বর প্রভাবশালী আমপাতুয়ান গোত্রের লোকজন তাদের রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের একটি গাড়ি বহরে হামলা চালায়। গোত্রের গভর্নর প্রার্থী আনদাল আমপাতুয়ান জুনিয়রের ব্যক্তিগত সশস্ত্র বাহিনী এ সময় বহরে থাকা প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর আত্মীয়স্বজন, সমর্থক, আইনজীবী এবং সাংবাদিক সহ ৫৮ জনকে গুলি করে হত্যা করে। নিহতদের মৃতদেহ পাওয়া যায় প্রদেশের নির্জন পাহাড়ি অঞ্চলের একটি গণকবরে।

এ ঘটনায় আনদাল আমপাতু জুনিয়র, তার ভাই এবং তাদের পিতা সহ ১১১ জন অভিযুক্তের বিচার চলছে। তবে ২০১০ সালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর ইতোমধ্যেই খুন হয়েছেন মামলার চার সাক্ষী।

বিচার দেরি হওয়ার কারণ সম্পর্কে আদালত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অভিযুক্তদের সংখ্যা অনেক বেশি থাকায় আগামী বছরের আগে এ ব্যাপারে পর্যাপ্ত প্রমাণ সংগ্রহ করতে পারবেন না বলে জানিয়েছে কৌসুলিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫১ ‍ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।