নাম: হেজবুল্লাহ
বার্ষিক লেনদেন: ৫০ কোটি ডলার
অঞ্চল: লেবানন
অর্থের উৎস: আর্থিক সহায়তা ও অনুদান (বিশেষত ইরান থেকে), মাদক উৎপাদন ও চোরাচালান।
লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য: ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম এবং ইসলামি লেবানন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা।
ফিলিস্তিনের হামাসের মতোই ইসরায়েলের বিরুদ্ধ লড়াইয়ের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হেজবুল্লাহর প্রচুর সামরিক রসদ রয়েছে। এই রসদই লেবাননের সবচেয়ে প্রভাবশালী সংগঠনে পরিণত করেছে হেজবুল্লাহকে। এমনকি লেবানন রাষ্ট্রের মধ্যই আরেকটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যেন করে ফেলেছে এই হেজবুল্লাহ। বিশাল পরিসেবা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সংগঠন সংশ্লিষ্ট লোকজনকে অর্থ, শিক্ষাসহ জীবন ধারণের যাবতীয় সহায়তা দেয় হেজবুল্লাহ।
শিয়াপন্থি সংগঠনটিকে বছরে প্রায় ২৫ কোটি ডলার অনুদান দিয়ে থাকে ইরান। কিন্তু এর বাইরেও হেজবুল্লাহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও শিল্পপতির কাছ থেকে সহায়তা নেওয়ার পথ তৈরি করেছে। এটি দক্ষিণ লেবাননের পর্যটন ও আবাসন খাতের নিয়ন্ত্রক। হেজবুল্লাহর সামরিক কার্যক্রমের মতো এর অর্থনৈতিক লেনদেনকেও অপরাধের পাল্লায় মাপে পশ্চিমারা।
পশ্চিমারা মনে করে দক্ষিণ আমেরিকা থেকে শুরু করে ইউরোপ, আফ্রিকা, মধপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য হয়ে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত অপরাধ জগতে হেজবুল্লাহর বিচরণ রয়েছে। এর উপ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো পুরো বিশ্বেই অর্থপাচার, মুদ্রা জালিয়াতি, অস্ত্র ব্যবসা, চোরাচালান এবং অবশ্যই হেরোইন ও কোকেইনসহ মাদক উৎপাদন ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
শিয়া অভিবাসী ও স্থানীয় চোরাচক্রের যোগসাজশে হেজবুল্লাহ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলে মাদক ব্যবসা করে বছরে ১০ কোটি ডলারেরও বেশি আয় করে বলে মনে করা হয়। এই অর্থপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা হেজবুল্লাহ আরও বেশি নির্ধারণ করেছে বলে সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়।
জানুন পঞ্চম ধনাঢ্য সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর তথ্য:
বছরে ৪০ কোটি ডলার লেনদেন তালেবানের
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪