ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

একদিনে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর পাকিস্তানে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫
একদিনে ১২ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর পাকিস্তানে ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ উঠে যাওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি ফাঁসির আসামিদের সাজা কার্যকর শুরু করেছে দেশটি। এরই অংশ হিসাবে মঙ্গলবার ফাঁসিতে ঝোলানো হয় অন্তত ১২ জনকে।

এক দিনে এতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের ঘটনা পাকিস্তানে এটাই প্রথম।

তবে মুলতান কেন্দ্রীয় কারাগারে এক আসামির ফাঁসি শেষ মুহূর্তে স্থগিত হয় বলে জানা গেছে। সেখানে জাফর ইকবাল ও ওয়াকার নাজিরের ফাঁসির হওয়ার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে বাদীপক্ষের সাথে আপসরফার ভিত্তিতে স্থগিত হয়ে যায় নাজিরের ফাঁসি। পুনঃবিবেচনার জন্য তার মামলাটি আবার আদালতে যাবে বলে জানা গেছে।

১৯৯৬ সালে ডাকাতির ঘটনায় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে নাজিরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অপরদিকে ১৯৯৬ সালেই ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে জাফরকে মৃত্যুদণ্ড দেয় আদালত।

করাচিতে মুহাম্মদ ফয়সাল ও মুহাম্মদ আফজালসহ তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। ১৯৯৮ সালে করাচির কোরাঙ্গি এলাকায় ডাকাতির সময় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তাদের এ সাজা দেয় আদালত।

এছাড়া ফয়সালাবাদে একজন, রাওয়ালপিন্ডিতে দুই জন, গুজরানওয়ালায় একজন ও ঝাংয়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

গত বছর ডিসেম্বরে পেশোয়ারে এক স্কুলে নৃশংস জঙ্গি হামলার পর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকরে স্থগিতাদেশ তুলে নেয় পাকিস্তান। এর আগে প্রায় সাত বছর দেশটিতে মৃত্যুদণ্ড স্থগিত থাকে।

জানা গেছে, পাকিস্তানের বিভিন্ন কারাগারে প্রায় ৮ হাজার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রয়েছে, যাদের মধ্যে অন্তত এক হাজারের আপিল ও ক্ষমা ভিক্ষার আবেদন খারিজ হয়ে গেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১৭, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।