ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

মোদির সঙ্গে আসছেন মমতা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১০ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫
মোদির সঙ্গে আসছেন মমতা নরেন্দ্র মোদি ও মমতা ব্যানার্জি

ঢাকা: আগামী ৬ জুন বাংলাদেশ সফরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও আসছেন।

তৃণমূল কংগ্রেসের একজন মন্ত্রীর বরাত দিয়ে ভারতের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বৃহস্পতিবার (২৮ মে) এ খবর জানিয়েছে।



পিটিআইএ’র এ খবরের পর বাংলানিউজের কলকাতা করেসপন্ডেন্ট ভাস্কর সরদার জানান, বিকেলে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় একটি সভায় মমতা নিজেও বলেছেন, তিনি বাংলাদেশ সফরে আসছেন।

ওই সভায় মমতা বলেন, আমি বাংলাদেশে যাবো। এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যাচ্ছেন। আমিও সঙ্গে যাচ্ছি।

দু’দিনের এ সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ, বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করবেন মোদি। সই করবেন বেশ ক’টি সমঝোতা স্মারক ও চুক্তিতেও।

২০১৪ সালের মে মাসে লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নিরঙ্কুশ জয়ের পর  মোদিকে ফোন করে এবং পরে চিঠি লেখে ঢাকা সফরের আমন্ত্রণ জানান শেখ হাসিনা। সেই আমন্ত্রণেই এ সফরে আসছেন বিজেপির এ প্রধানমন্ত্রী।

স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সম্প্রতি সংসদে সংবিধান সংশোধন বিল পাস হওয়ার পর এ সফরে আসছেন মোদি।

২০১১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সফরে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন মমতা। সে সময় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও তিস্তা চুক্তি সই হতে পারেনি মমতার অস্বীকৃতির কারণেই।

এবার মোদির সঙ্গে মমতা এলে স্থল সীমান্ত চুক্তিসহ অন্যান্য চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক পূর্ণ রূপ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সফরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ওপর ভাষণ দেবেন মোদি। এছাড়া, মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারি বাজপেয়ীর পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা সম্মাননা গ্রহণ করবেন তিনি।

গত বছর নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ হাসিনার আমন্ত্রণের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগ্রহ প্রকাশের পর থেকেই তার সফর আয়োজনের ব্যাপারে তোড়জোড় শুরু হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় কয়েক মাস আগে মোদির ঢাকা সফরের ব্যাপারে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রস্তাব দেয় নয়াদিল্লি।

সে সময় দিনক্ষণ চূড়ান্ত না হলেও জুন মাসেই এই সফর আয়োজনের ব্যাপারে সম্মত হয় উভয় পক্ষ।

মূলত ছিটমহল বিনিময় সংক্রান্ত স্থল সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে সংবিধান সংশোধন বিল ভারতের পার্লামেন্টে পাস হওয়ার প্রেক্ষিতে দ্বার খুলে যায় মোদির সফরের।

বর্তমানে দুই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সম্পর্ক বিশেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। এই প্রেক্ষিতে মোদির ঢাকা সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের ভিত্তি আরও শক্তিশালী করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কূটনৈতিক সূত্র বলছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সইয়ের প্রস্তুতি চলছে।

বিশেষ করে মোদির সফরেই তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে একটা ফয়সালা হতে পারে বলে ইঙ্গিত মিলেছে ভারতের সরকারি তরফে।

খুব শিগগিরই তিস্তা চুক্তি হবে বলে জানিয়েছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির অন্যতম প্রভাবশালী নেতা রাজনাথ সিং।

এছাড়া, মোদির সফরেই দুই দেশের মধ্যে উপকূলীয় জাহাজ চলাচল চুক্তি, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নবায়ন, অভ্যন্তরীণ নৌ প্রটোকল নবায়ন, সামুদ্রিক অর্থনীতি, জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ মোকাবিলা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, দুই দেশের মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থার মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হবে।

পাশাপাশি বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ভারতের জন্য একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দের বিষয়েও আলোচনা হতে পারে বলে জানা গেছে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, মে ২৮, ২০১৫/আপডেট ১৮৫৭ ঘণ্টা
জেডএস/এইচএ

** ‘বাংলাদেশে আমি যাবো’: মমতা

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।